প্রতিবেদন: এবার থেকে সরকারি হাসপাতালে ধর্ষিত নাবালিকা এলে তার চিকিৎসা ও পরিষেবা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের। এই ধরনের অভিযোগ এলে জরুরি ভিত্তিতে নাবালিকার লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে হবে। সেই সময় উপস্থিত থাকবেন মহিলা চিকিৎসক এবং মহিলা নার্স। কোনওভাবেই কোনওরকম পুরুষ চিকিৎসক বা পুরুষ চিকিৎসা কর্মী সেখানে থাকতে পারবেন না। এছাড়াও কোনওভাবেই টু ফিঙ্গার টেস্ট করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সরকারি ফরম্যাটে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনার যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন-ভোট মিটতেই বঞ্চিতদের মাথায় পাকা ছাদের ব্যবস্থা, উদ্যোগী রাজ্য
একইসঙ্গে সমান অগ্রাধিকার দিতে হবে নিগৃহীতার শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। কোন সময় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেই সময়, দিন, তারিখ উল্লেখ করে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। এছাড়াও সেখানে পুলিশকর্মীর স্বাক্ষর বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে। যদি দেখা যায় ওই নিগৃহীতার বয়স ১২ বছরের কম অথবা সে বিশেষভাবে সক্ষম কিংবা তার মানসিক গঠন পরিপূর্ণ নয় তাহলে সেক্ষেত্রে তার বাবা-মা কিংবা আইনি অভিভাবক ওই নথিতে স্বাক্ষর করবেন। যদি পরীক্ষার সময় অভিভাবক অনুপস্থিত থাকেন তাহলে হাসপাতালের বিশ্বস্ত কোনও মহিলা কর্মীর উপস্থিতি এবং স্বাক্ষর সেক্ষেত্রে গণ্য হবে। এছাড়াও নাবালিকার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা আবশ্যিক। নাবালিকার স্নানঘরের জল, থুতু, গার্গল করলে সেই জল লালারস এমনকী মূত্রের নমুনা ও পোশাক সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে হবে। নাবালিকার মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে মুখ, ঘাড়, কাঁধ, এবং গোপনাঙ্গ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে প্রাপ্ত তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে।