প্রতিবেদন : রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ডায়ালিসিস সেন্টার এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্র ও ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে অনিয়ম রুখতে রাজ্য সরকার (West Bengal Government- Health Department) কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখানে আসা রোগীদের তথ্য এখন থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে অনলাইনে সংরক্ষণ করতে হবে। এই সব কেন্দ্রগুলির তথ্য সংরক্ষণের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর একটি বিশেষ পোর্টাল তৈরি করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীলতা আনার জন্য নতুন এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় ডায়াগনস্টিক পরিষেবা দেওয়ার জন্যে রাজ্য সরকার (West Bengal Government- Health Department) চলতি বছরে মোট ১৬ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও ফেয়ার প্রাইস ডায়ালিসিস সেন্টারের জন্যে ৬৮ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ন্যাশনাল ফ্রি ডায়াগনস্টিক সার্ভিসেস (এনএফডিসি) প্রকল্পে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল এবং স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ‘পিপিপি’(পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে ডায়াগনস্টিক সেন্টার তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে পিপিপি মডেলে তৈরি হওয়া ডায়ালিসিস সেন্টার, ন্যায্যমূল্যে ওষুধের দোকান কর্তৃপক্ষকে ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর নিয়মিত রোগীদের সমস্ত তথ্য, নিবন্ধন আপলোড করতে হবে নির্দিষ্ট সেকশনে। ফলত, রোগীর অসুস্থতার তথ্যাবলিও সহজে সংরক্ষিত হবে স্বাস্থ্য দফতরের ইন্টিগ্রেটেড হেলথ মনিটরিং সিস্টেমের কেন্দ্রীয় সার্ভারে। সেক্ষেত্রে, সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে পিপিপি মডেলে চলা এই সেন্টারগুলোতে কোনও রোগী গেলে তাঁর আইডেন্টিটি সংক্রান্ত তথ্য সঙ্গে সঙ্গে ওই ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। রোগীদের কোন চিকিৎসক দেখেছেন, কী ওষুধ দেওয়া হয়েছে বা রোগীর সমস্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে হবে। আপাতত বেশ কিছু সেন্টারে মডেল হিসাবে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে এই প্রোজেক্ট কার্যকরী হলে রাজ্যের সমস্ত পিপিপি মডেলে চালু থাকা সমস্ত ডায়ালিসিস সেন্টার, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ব্যবস্থা আবশ্যক করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের তিন ক্ষেত্রেই দলের প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়