প্রতিবেদন: শনিবার শুরুটা হলেও রবিবারই ছিল বেশি প্রতিমা বিসর্জন। তার আগে থেকেই গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসন। জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে মোট চারটি ক্রেন রেখেছে কলকাতা পুরসভা। এর মধ্যে বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকছে। ঘাটগুলিতে মজুত রাখা হচ্ছে চারটি কুইক রেসপন্স টিম। স্পিড বোট এবং জেট স্কি-র মাধ্যমেও টহলদারি চলবে।
আরও পড়ুন-বাংলা ও কেন্দ্রের সরকারের পার্থক্যটা একবার দেখুন
পুরসভার খবর, প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শহরের ৬৯টি ঘাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে গঙ্গার ঘাটের সংখ্যা ২৪টি। বাকিগুলি পুকুর বা বড় জলাশয়। ২৯টি ঘাটে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ১৪টি ঘাটে দু’জন করে মহিলা পুলিশকর্মী থাকছেন। গুরুত্বপূর্ণ সাতটি ঘাটে ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে চলবে নজরদারি। নদীবক্ষে বা জলাশয়ে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ও নজরদারি চালাতে নৌকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাজে কদমতলা ঘাট এবং রিভার ট্রাফিক পুলিশের জেটিতে মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল। প্রতিটি দলে ছ’জন করে সদস্য রয়েছেন। গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে হাজারের বেশি অতিরিক্ত পুলিশকর্মী। এদিকে পুরসভার তরফে প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঠামোগুলিকে ক্রেন দিয়ে টেনে তুলে ফেলা হচ্ছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন মেনে ফুল, মালা এবং পুজোর অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গার তীরেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত গঙ্গার ঘাট এবং জলাশয়গুলিতে প্রতিমা নিরঞ্জনের বন্দোবস্ত থাকছে। ওইদিনের মধ্যেই সমস্ত প্রতিমা নিরঞ্জন শেষ করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।