প্রতিবেদন : দীর্ঘ ৩২ বছর পর ফের হুগলি জেলায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমার প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইমাম, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খান, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এবং অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-১৮ তারিখ থেকেই বড়দিনের উৎসবের সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান, এত বড় ধর্মীয় সমাবেশে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। আগত ধর্মপ্রাণ মানুষের থাকা, খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত এবং নিরাপত্তা—সব দিকই খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন তিনি। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েনের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চারদিন ধরে এই ইজতেমা চলবে হুগলির দাদপুর থানার অন্তর্গত পুইনান এলাকায়। শেষ দিন, ৫ জানুয়ারি আখরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ইজতেমায় দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে।

