প্রতীচী দখল রুখতে কড়া নজরদারি

বিশ্বভারতীর উপাচার্যের স্বৈরাচারী কাজকর্মের পাশাপাশি অমর্ত্য সেনকে অপমানের লাগাতার উদ্যোগকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না জেলা প্রশাসন।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর উপাচার্যের স্বৈরাচারী কাজকর্মের পাশাপাশি অমর্ত্য সেনকে অপমানের লাগাতার উদ্যোগকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না জেলা প্রশাসন। ৬ মে-র মধ্যেে প্রতীচী ট্রাস্টের উচ্ছেদ নোটিশ প্রকাশ্যে আসার পরই তৎপর জেলা প্রশাসন। জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকেই অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্ট বা বসতবাড়িতে পুলিশ ক্যাম্প আছে। অনধিকার প্রবেশ কেউ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এবং এস্টেট অফিসার হুমকি দিয়েছেন, নোটিশের ১৫ দিন বা ৬ মের মধ্যে যেটি পরে আসবে, এই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

আরও পড়ুন-দেশি শিঙি-মাগুর দেখাচ্ছে স্বনির্ভরতার দিশা

যদি স্বেচ্ছায় না ছাড়েন তাহলে বলপ্রয়োগের জন্য‍দখলদার দায়ী থাকবেন। নোবেলজয়ীর বসতবাড়ির ক্ষতি না করে ওই সম্পত্তির উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে ১৩ ডেসিমেল জায়গা উদ্ধারের পরিকল্পনাও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। এমনটাই বলা হয়েছে ১৯ তারিখের নোটিশে। এর আগে ১৭ তারিখ নোটিশ সেঁটে ১৯ তারিখে নোবেলজয়ীর প্রতিনিধিকে থাকার কথা বলা হয়। ১৮ এপ্রিল ই-মেল মারফত জুন মাসে আসার কথা বিশ্বভারতীকে জানান অমর্ত্য। জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, অমর্ত্য সেন দেশের গর্ব।

আরও পড়ুন-ফসিল পার্ক হেরিটেজ

অথচ সামান্য জায়গা নিয়ে তাঁকে প্রতি মুহূর্তে অসম্মানিত করা হচ্ছে। বোলপুর বিএলআরও সঞ্জয় দে জানান, অমর্ত্য সেন পৈতৃক জায়গাতেই আছেন। আমরা তার তথ্য-প্রমাণ দিয়েছি। তা সত্ত্বেও কেন এমন হচ্ছে বলতে পারব না। উচ্ছেদের নোটিশ নিয়ে জেলাশাসক বিধান রায় ও জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বিষয়টির উপর নজর রাখছি। যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Latest article