সংবাদদাতা, বসিরহাট : কাঠামাে পুজোর মধ্য দিয়ে শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ল ইছামতী পাড়ের ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত শহর টাকি পুবের রাজবাড়িতে। বসিরহাটের ইছামতী নদীর তীরে ছোট্ট শহর টাকি। বিশেষত দুর্গাপুজাের সময় এক অনন্য চেহারা নেয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই শহর। টাকি রাজবাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম প্রাচীন পুজাে হিসাবে গণ্য করা হয় টাকি পুবের রাজবাড়িকে।
আরও পড়ুন-তিক্ততা ভুলে নাচ গফ-সাবালেঙ্কার, ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনাল দেখতে চাইনি : জকো
জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় ৩০৩ বছর আগে টাকির তৎকালীন জমিদার রায়চৌধুরী বংশের উদ্যোগে টাকি পুবের বাড়িতে চালু হয় দুর্গাপুজো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মলিন হয়েছে রাজবাড়ির দেওয়াল, নোনা ধরেছে ইটে। জাঁকজমক কমলেও, পুজোর ঐতিহ্যে একটুও চিড় ধরেনি। আর সেই দূর্গাপুজোর কাঠামো পুজো হল আষাঢ় মাসে রথের দিন। সকাল থেকে টাকি পুবের বাড়ির ঠাকুর দালানে কাঠামাে পুজো শুরু করেন পুরোহিত। রাজবাড়ির বর্তমান কর্ণধার শর্মিষ্ঠা ঘোষের উদ্যোগে এক সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয় কাঠামো পুজােকে কেন্দ্র করে। তিনি বলেন, যে কাঠামোর উপরে ঠাকুর নির্মিত হয় রথের দিন সেই কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা একপ্রকার শুরু হয়ে গেল টাকিতে। বাবলা গাছের কাঠ দিয়েই এই কাঠামো তৈরি হয়। পুজোর শেষে ওই বাবলা গাছের গুঁড়ি থেকে এক টুকরো কাঠ কেটে রেখে দেওয়া হয়। মূল দুর্গাপুজােয় নবমীর দিন যজ্ঞের সময় সেই কাঠের আহুতি দেওয়া হয়। কাঠামো পুজাের সঙ্গে চলল দেদার প্রসাদ বিতরণ।