সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : আবার বিতর্কে বিশ্বভারতী। সংগীতভবনের এক ছাত্রীকে উপর্যুপরি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে সংগীতে স্নাতকস্তর থেকে গবেষণারত অবস্থায় মোট ১২ বছর ওই শিক্ষকের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটি। অভিযুক্ত অধ্যাপক প্রশান্তকুমার ঘোষ, তাঁর স্ত্রী লিপিকা ঘোষ, সংগীতভবনের অধ্যক্ষা তথা বাম নেত্রী ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় এবং মাধবী রুজ ঘোষ। অভিযোগকারিণী ১৩ জুলাই শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মূল অভিযোগ প্রশান্তর বিরুদ্ধে। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গর্হিত কাজে সাহায্য করার।
আরও পড়ুন-বেঙ্গল সাফারিতে নয়া অতিথি
অভিযোগকারিণী বিষয়টি তাঁর স্ত্রীকে জানালেও লাভ হয়নি। বিভাগীয় শিক্ষিকাদের বক্তব্য, ‘মাস্টারমশাইরা একটু-আধটু এমন করেই থাকেন।’
২০২০-র ১৭ ডিসেম্বর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে অভিযোগ করেন। তিনি দ্রুত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির কাছে পাঠান। গত জুন মাসে কমিটির রিপোর্টে বলা রয়েছে, অভিযুক্ত আগেও একই অভিযোগে লিপ্ত ছিলেন। এক্ষেত্রে শিক্ষক নৈতিকতার সমস্ত ধাপ অবমাননা করেছেন। এবং অনৈতিক ভাবে ছাত্রীর ক্ষতিসাধন করেছেন। শুধু অভিযুক্ত নন, সংগীত ভবনের অধ্যক্ষা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বা নিজে একজন মহিলা হয়ে বা বিশাখা কমিটির প্রাক্তন সদস্যা হয়েও ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি লাঘব করার চেষ্টা করেননি। রিপোর্ট হাতে পেয়ে মূল অভিযুক্ত-সহ আরও তিনজন অন্যায়ের সহযোগীদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের তেরো জুলাই শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগকারী ছাত্রী।