প্রতিবেদন : এক প্যাকেট চিপস চুরির অভিযোগে সবার সামনে কান ধরে উঠবস, সঙ্গে চড়থাপ্পড়। বারবার ‘চুরি করিনি’ বললেও তার কথা শোনা হয় না। অপমানে মাকে চিঠি লিখে আত্মঘাতী সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। নাম কৃষ্ণেন্দু দাস। পাঁশকুড়ার গোসাঁইবেড় বাজারের বাসিন্দা। শুভঙ্কর মাইতি নামে যে দোকানি চুরির নামে কৃষ্ণেন্দুকে মারধর করে, সে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ারও। তার কঠোর শাস্তির দাবি তুলছে এলাকাবাসী। সুইসাইড নোটে নাবালক পড়ুয়া লিখেছে, ‘মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুড়কুড়াটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম চুরি করিনি।’ ঘটনায় গোসাঁইবেড় এলাকায় শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন-তিস্তাপাড়ে হাতির হানায় মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও চাকরির আশ্বাস
ওর পরিবারের দাবি, কৃষ্ণেন্দু রবিবার বাজারে চিপস কিনতে বেরিয়েছিল। যে দোকানে গিয়েছিল সেখানে চিপস ছিল না। দোকানদারকে বারবার ডেকেও সাড়া পায়নি। বাইরেই চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে কুড়িয়ে নেয়। বাড়ি ফেরার সময় ওই দোকানের মালিক শুভঙ্কর মোটরবাইক নিয়ে তাড়া করে ধরে বাজার এলাকায় কান ধরে ওঠবস করায়, মারধরও করে। কৃষ্ণেন্দুর বাবা-মায়ের দাবি, কৃষ্ণেন্দু চিপসের দাম মিটিয়ে দিলেও চলতে থাকে মারধর। নাবালকের মা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে শাসন করে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। কিছুক্ষণ পর ঘরে ঢুকে দেখা যায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে। কীটনাশক খেয়ে নিয়েছিল। তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয়।