কমরেড ভুলে গেলেন! সিপিএম পার্টি অফিসেই ধর্ষণ করা হয় ছাত্রনেত্রীকে

চোরের মায়ের বড় গলা

Must read

প্রতিবেদন : লজ্জা করে না কমরেড (Shame On CPIM)! ভুলে গেলেন কেরল পার্টি অফিসে কী ঘটেছিল! কী ঘটিয়েছিল আপনাদের ছাত্রনেতা? পার্টি অফিসের ভিতরেই দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যাকে ধর্ষণ করেছিল এসএফআই নেতা। তারপর দল কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিল? নেয়নি। এক বছর পরে চাপে পড়ে ওই ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় আপনাদের পুলিশ। নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে (Shame On CPIM)। শুধু কি তাই, উত্তর কেরলে অন্য একটি ঘটনায় সহকর্মী মহিলা কমরেডকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই সিপিএম নেতাকেও। হালে সিপিএম অভিনেতা-বিধায়ক মুকেশ পাশের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ ওঠে। তারপর ইস্তফার প্রয়োজন পর্যন্ত মনে করেননি বিধায়ক। কমরেড, এই তো আপনাদের অবস্থা। আপনারা আবার প্রতিবাদে নামেন কোন মুখে? বাংলায় ৩৪ বছরের বামশাসনে কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তা কি ভুলে গিয়েছেন কমরেড? বানতলা, ধানতলা, বিজন সেতু, সিঙ্গুরে নারী নির্যাতনের ঘটনা মানুষ ভুলে যায়নি। আর বর্তমানে বামশাসিত একমাত্র রাজ্য কেরলেও একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। পার্টি অফিসের মধ্যেই ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সংস্কৃতির ধ্বজাধারী বামেদের চরিত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তাহলে কোন মুখে বাংলায় আন্দোলন করতে নামেন বামেরা? বামেদের যুব সমাজ যে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে, তা বামশাসিত কেরলে পার্টি অফিসে ধর্ষণের ঘটনাতেই প্রমাণিত। শাস্তি দেওয়ার বদলে কেরলে বাম সরকার সেই ধর্ষককে এক বছর ধরে গ্রেফতারই করেনি!
কেরলের পালাক্কাড়ে একটি নবজাতককে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার তদন্তে নেমেই তাজ্জব পুলিশ। উঠে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পুলিশ জানতে পারে, এসএফআই-এর এক নেত্রী নবজাতককে ফেলে রেখে যান। তদন্ত শুরু হয় ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে। তখনই প্রকাশ্যে আসে ধর্ষণ-কাণ্ড। ওই নেত্রীই পালাক্কাড় থানায় অভিযোগ জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে এসএফআইয়েরই এক কর্মী তাঁকে সিপিআইএম পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক বছর পর ২০১৯-এর মার্চ মাসে পি প্রকাশন নামে এসএফআই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন-রাজ্যের ক্রীড়া মানচিত্র বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী : অরূপ

নির্যাতিতা বামনেত্রীর অভিযোগ, ২০২৪ সালের জুন মাসে কলেজ ম্যাগাজিনের কাজ করার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদক মেশানো তরল খাইয়ে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। এরপর তিনি সন্তানসম্ভবা হলে অভিযুক্ত প্রকাশন তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেনি ওই বামনেতা। তাঁর সন্তানের জন্ম হলে নির্যাতিতা তাকে ফেলে দেয়। ফাঁস হয়ে যায় বামনেতার কুকীর্তি।

কেরলে সিপিএম যৌন নির্যাতনের অভিযোগে জর্জরিত। খোদ দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। উত্তর কেরলে পিপি বাবুরাজ ও টিপি লিজেশ নামে দুই বামনেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অভিযোগকারী মহিলাকে ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। তাঁকে ব্ল্যাকমেলও করা হয়। বিরোধী চাপে পরে বাধ্য হয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

Latest article