প্রতিবেদন : এ তো সরষের মধ্যেই ভূত! একদা ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে খুনে অভিযুক্তই রাতারাতি সাধু সেজে তিলোত্তমা খুনের বিচার চাইছে? স্লোগান তুলছে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এরাই এখন আন্দোলনের মুখ? খুনের অভিযুক্ত এখন প্রতিবাদী?
আরও পড়ুন-আমাকে খুন করার চক্রান্ত চলছে বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ
যত দিন যাচ্ছে এভাবেই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের মুখোশ ক্রমশ খুলে পড়ছে। ‘জাস্টিস’ চেয়ে যাঁরা পথে নেমেছিলেন, ‘থ্রেট কালচার’-এর বিরুদ্ধে যাঁরা গলা ফাটাচ্ছিলেন তাঁদের পাশেই শোভা পাচ্ছে শাহবাজ শেখদের মতো মুখ। কে এই শাহবাজ শেখ? ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী মধুমিতা ঘোষের দেহ হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। তাঁর বাবা-মা ওই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শাহবাজ শেখের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে কলেজে দাদাগিরি, থ্রেট কালচারের অভিযোগ ছিল। সেই শাহবাজই এখন প্রতিবাদীদের সামনের সারিতে। মধুমিতা ঘোষ খুনে অভিযুক্ত সেদিনের সেই শাহবাজ এখন থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব।
আরও পড়ুন-ভাঙল একাধিক বাড়ি, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি
সেই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সেই পোস্ট শেয়ার করেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁদের প্রশ্ন, অনিকেত মাহাতোদের দেওয়া নটোরিয়াস ক্রিমিনালের(!) লিস্টে কেন এই শাহবাজদের নাম থাকে না? ওরা অনিকেতদের লবির বলেই কি সব মাফ! সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০২১ সালের সেই এফআইআরের কপি এবং মধুমিতার বাবার অভিযোগপত্রও সামনে এসেছে। এর পাশাপাশি প্রতিবাদীদের পাশে শাহবাজ, এমন ছবিও দেখা যাচ্ছে। পোস্ট শেয়ার করে কুণালের আবেদন, জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা এবার পরিষ্কার করে জানান যে এই শাহবাজ শেখ (যাকে ছবিতে দেখা যাচ্ছে) তিনি সমাজসেবী নাকি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল! এটা জানা দরকার। কেন না, তিলোত্তমার মায়ের মতোই মধুমিতার মাও কিন্তু ন্যায়বিচার পাননি। কারণ, সেদিনের অভিযুক্তরাই কিন্তু এখন আন্দোলনের আশ্রয়ে নিজেদের বাঁচাতে চাইছে।