সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া: মুখমন্ত্রী মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন, ওরা উল্লাসে ফেটে পড়ছে। এ যেন পরম ভরসায় স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার হুটমুড়া ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী দিদির কথা শুনতে শুনতে হাততালিতে ফেটে পড়ছিল। শিক্ষাক্ষেত্রে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, বিভিন্ন স্কলারশিপ চালু করে দিদি যে ওদের ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে উসকে দিয়েছেন!
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেস ম্যাজিক মেঘরাজ্যে, জনসমুদ্র অভিষেকের জনসভায়
মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীও বললেন, পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েরা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, প্রশাসক হবে, তবেই তো সাফল্য। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের গর্বের সঙ্গে বলতে হবে, আমি বাংলার বাসিন্দা, আমি অমুক জেলার বাসিন্দা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যেসব পরিষেবা দিয়েছেন তার মধ্যে ছিল ছাত্রছাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ আয়োজন। দেওয়া হয়েছে সবুজসাথীর সাইকেল, কন্যাশ্রী। দেওয়া হয়েছে খেলাধুলায় বিশেষ সম্মান। পিছিয়ে ছিলেন না মহিলারাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন ষাট বছর বয়স হলেই মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়া বন্ধ হবে না। ষাট বছর হলে তারপর থেকে তাঁরা মাসিক একহাজার টাকা বার্ধক্যভাতা পাবেন। তার বক্তব্যের মাঝেই হাততালির ঝড় ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন ছাত্র, যুব, মহিলাদের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা এগিয়ে দেয় সমাজকে। বাংলার সেই স্বপ্ন পূরণ করবেন তিনি।