তৃণমূল সুপ্রিমোর সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরলেন সুব্রত, জগদীশ-ফিরহাদ একযোগে বিঁধলেন বিজেপিকে

Must read

আজ একুশে জুলাই। শহিদ (Shahid Dibas) সমাবেশে জনস্রোত ধর্মতলা চত্বরে। শহিদ স্মরণে ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুনতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এক এক করে বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া।

সুব্রত বক্সি: মমতার দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন কংগ্রেসের পতাকা হাতে ধরে। পরবর্তী পর্যায়ে অনেক কর্মসূচি নিয়েছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য, সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে এই কর্মসূচির দিন ঠিক হয়ে ছিল ১৪ জুলাই। কিন্তু, ওই সময় প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসানের প্রয়াণের কারণে, কর্মসূচির দিন পিছিয়ে ২১ জুলাই করা হয়। এরপর নানা ঘাত প্রতিঘাত সামলে আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে অবিভক্ত কংগ্রেসের সভানেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আপনারা যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন বা সচিত্র পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে ভোট দিতে যান তার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অপরিসীম। মার্কসবাদীদের লাগাতার অত্যাচার চালিয়েছে। ১৯৯৪ সাল থেকে শহিদ তর্পণের সূচনা হয়েছিল। এতবছর পরেও শহিদদের প্রতি সমানভাবে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। শহিদদের কখনওই ভুলে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- একুশে সমাবেশ, শহিদ স্মরণে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট তৃণমূল সুপ্রিমো ও অভিষেকের

জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়া: উত্তরবঙ্গ থেকে যত রাজবংশী মানুষ এসেছে। মঞ্চের সবাইকে ধন্যবাদ জানালাম। উত্তরের মানুষ যারা রয়েছেন। সহজ মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙেছে। বিজেপিকে ভোট দিয়ে মানুষ কী পেয়েছে? কত প্রতিশ্রুতি! চা বাগান খুলে দেবে বলেছিল, খুলেছে? পঞ্চানন বর্মার মূর্তি হল না, রাজবংশী অ্যাকাডেমি হল না। দিদি রাজবংশী স্কুল করে দিয়েছেন, জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ করে দিয়েছে। কোচবিহারের মানুষ ভোট দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। বিজেপির কথায় আমরা আর গলব না। কোচবিহারের মানুষ জোড়াফুলকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে। কর্মের নামে না ধর্মের নামে ভোট চায় তাঁদের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। উত্তরের মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকা পায় না। অভিষেক মানুষের টাকার জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন। লড়াই চলবে। ২০২৬ বিধানসভার ভোট আসবে। কোচবিহার থেকে মালদহ সব বিধানসভা আসনে জোড়াফুল ফোটাতে হবে। সভা শেষ করে বাড়িতে সবাই সাবধানে ফিরবেন। ২০২৩ সালে দুর্ঘটনায় একজন মারা গিয়েছিলেন। এবার সবাই সাবধানে বাড়ি ফিরবেন।

ফিরহাদ হাকিম: অভিষেক, সুব্রত সহ সকলকে ধন্যবাদ। তৃণমূল এমনই সরকারে আসেনি। সিপিএমকে বাংলা থেকে দূর করেনি। তৃণমূল অভিলাসের বস্তু নয়। এই দল নিজেকে জাহির করার বস্তু নয়। যারা অন্যায় করবে তাঁদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এই দল। ধর্মতলায় ২৬ দিন অনশন করে মমতা মৃত্যু মুখে ঢলে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গার্ডেনরিচে গুলি চালিয়ে মমতাকে মারার চক্রান্ত করেছিল সিপিএম। বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক শহিদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। আমিও শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছি। অভিষেক লড়াই করেছেন। এই লড়াই দেশ বাঁচানোর লড়াই। মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূল বলে ধর্ম তোমার ধর্ম আমার উৎসব সবার। দেশ রক্ষার দায়িত্ব তৃণমূলের। দিদি তুমি লড়াই কর, তৃণমূলের সৈনিকরা তোমার সঙ্গে আছেন। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। বাংলা পথ দেখিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো রাস্তাই একমাত্র মুক্তির রাস্তা। মমতা দিদি এগিয়ে চল আমরা তোমরা সঙ্গে আছি।

Latest article