প্রতিবেদন :বিজেপিতে গিয়ে কার্যত এক ঘরে হয়ে থাকা সব্যসাচী দত্ত গেরুয়া শিবির ছেড়ে “ঘর ওয়াপাসি” করেছেন। বুঝতে পেয়েছেন নিজের ভুল। তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করেছেন। দলের অন্যদের অনেক আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বিপথে চালিত হওয়া সন্তানকে মায়ের মতো ক্ষমা করে ঘরে ফিরিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল, বৃহস্পতিবার, বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তাঁর নির্দেশে সব্যসাচীকে ক্ষমা করে তাঁকে দলে ফেরানোর নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং বিধানসভায় নিজের কক্ষে সব্যসাচীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল মহাসচিব তথা পরিষদীয় নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । ছিলেন ফিরহাদ হাকিমও ।
আরও পড়ুন : নেশনস লিগ ফাইনালে স্পেন বনাম ফ্রান্স
আর বিধানসভার মধ্যে এই যোগদান বিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি । সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। বিধানসভায় একজন পরিষদীয় মন্ত্রী তাঁর সরকারি কক্ষে অন্য এক মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একজনকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করালেন, দলের পতাকা ধরালেন। এই ঘটনা বেনজির। ভারতের অন্য কোনও বিধানসভা বা লোকসভাতেও এমন ঘটনার উদাহরণ নেই। এ রাজ্যে সংবিধানের মূল বক্তব্য সমাধিস্থ করে এটাই ছিল শেষ পদক্ষেপ। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানালাম। আমরা অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দেব। রাজ্যপালের কাছেও যাব।”
এর পরই পাল্টা দেন, তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “বিধানসভা কি মন্দির-মসজিদ যে ওখানে এটা করা যাবে না? কোন বইতে লেখা আছে? খারাপ আচরণ, অসৎ আচরণ, অসত্য কথাবার্তা এগুলো বিধানসভাকে কলুষিত করে। কাকে কী পতাকা তুলে দেওয়া হল, তাতে বিধানসভা কলুষিত হয় না।”