চন্দন মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া : কলকাতা থেকে বহু দূরে নাদনঘাটের নওয়াপাড়া গ্রাম। এখানেই কেটেছে সুব্রতবাবুর শৈশব। ওঁর মৃত্যুর খবর ছড়াতেই শোকস্তব্ধ বগপুর পঞ্চায়েতের খড়িনদী লাগোয়া এই গ্রামটি-সহ আশপাশের বহু গ্রাম। সকালেই গ্রামে হাজির হন বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের কাছে সুব্রতবাবুর জন্মভিটের কাছে সুব্রতবাবুর ছবি ফুলমালায় সাজিয়ে এলাকার লোকজনদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন-সুব্রত মুখোপাধ্যায় মানেই আন্দোলন
স্বপন বললেন, ‘‘বছরে একবার বউদিকে নিয়ে আসতেনই। এসে যেভাবে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে মিশে যেতেন, মনেই হত না, উনি একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী। এলাকার উন্নয়নের জন্য যখন যা আবদার করেছি, তখনই তা পূরণ করেছেন।’’ শ্রদ্ধা জানাতে নওয়াপাড়া গ্রামে হাজির হন একদল পুরুষ-মহিলা। সেই ভিড়ে চোখ মুছতে দেখা গেল সত্তরোর্ধ্ব শঙ্করপ্রসাদ মণ্ডলকে। নওয়াপাড়া প্রাইমারি স্কুলে সুব্রতবাবুর সহপাঠী শঙ্করবাবু বললেন, ‘‘মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় পদে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু নওয়াপাড়াকে কখনও ভোলেননি। আমৃত্যু ছোটবেলার বন্ধুত্ব মনে রেখেছেন।’’ বাবা অশোকনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন নাদনঘাট হাইস্কুলের শিক্ষক। গোটা এলাকা মান্য করত। সেই সূত্রে ছোট্ট সুব্রতরও বন্ধুমহল বা বন্ধুদের বাড়িতে অন্যরকম কদর ছিল। গোটা এলাকার সঙ্গে তৈরি হয়েছিল নাড়ির টান।