উপত্যকায় আতঙ্ক কাটছে না সুহেলদের

পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় ভূস্বর্গে আতঙ্ক ফিরে আসায় কলকাতায় অস্বস্তিতে ছিলেন মোহনবাগানের তরুণ কাশ্মীরি ফরোয়ার্ড সুহেল ভাট।

Must read

চিত্তরঞ্জন খাঁড়া: পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় ভূস্বর্গে আতঙ্ক ফিরে আসায় কলকাতায় অস্বস্তিতে ছিলেন মোহনবাগানের তরুণ কাশ্মীরি ফরোয়ার্ড সুহেল ভাট। শ্রীনগরে বাড়ি ফিরেও আতঙ্ক কাটেনি তাঁর। গত কয়েকদিনের ‘ব্ল্যাকআউট’, ‘শেলিং’, মর্টারের শব্দ বেসামাল করে দিয়েছে সুহেলদের জীবন। শনিবার সন্ধ্যার মুখে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণায় স্বস্তি ফিরলেও দ্রুত তা উধাও হয়ে যায় ফের উপত্যকায় গোলাগুলি শুরু হওয়ায়। সাময়িক স্বস্তির মধ্যে বাড়িতে আলো জ্বলেছিল। সন্ধ্যার পরেও সুহেল, মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুরা ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন। শ্রীনগরের মাঠে ফেরার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু ফের সেই ঘরবন্দি জীবন।

আরও পড়ুন-গানের কবি প্রাণের কবি

ভুবনেশ্বরে সুপার কাপে জোড়া গোল করে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পান সুহেল। মরশুম শেষে শ্রীনগরের বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন ২১ বছরের ফুটবলার। কলকাতায় জাতীয় শিবিরে যোগ দেবেন ১৮ মে। তার আগে সুহেল চেয়েছিলেন, বাড়িতে বিশ্রামের পাশাপাশি শ্রীনগরে অনুশীলন করে নিজেকে তরতাজা রাখতে। কিন্তু দিন তিনেকের সীমান্ত সংঘাতের জেরে বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি কাশ্মীরি তরুণ।
সুহেল ও তাঁর স্থানীয় বন্ধু ফুটবলারদের অনেকেই মেহরাজউদ্দিনের অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। শ্রীনগরে স্পোর্টস কাউন্সিলের ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করান মেহরাজ ও তাঁর ডেপুটি। বাড়িতে থাকলে অ্যাকাডেমির মাঠেই অনুশীলন করেন সুহেল। শ্রীনগর থেকে ফোনে মেহরাজ বলছিলেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতি হওয়ায় আমরা স্বস্তি পেয়েছিলাম। সুহেল আমার বাড়ির কাছেই থাকে। ওকে সোমবার থেকে আমার অ্যাকাডেমির মাঠে আসতেও বলি। কিন্তু ফের দুশ্চিন্তা শুরু হল।’’ যোগ করেন, ‘‘বাড়িতে বসে আতঙ্ক কাটছে না। শ্রীনগর বিমানবন্দর খুব দূরে নয়। ওখানে শেলিং, মর্টার, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে চিন্তায় থাকি। চাই সংঘর্ষবিরতি যেন স্থায়ী হয়। কাশ্মীরের হাল ফিরুক।’’ সুহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে কথা বলতে চাননি। পরে বললেন, ‘‘কাশ্মীরে বাড়ি ফিরে অনুশীলন করতে না পারলেও আক্ষেপ নেই। আগে জীবনের নিরাপত্তা। তারপর তো খেলা।’’

Latest article