প্রতিবেদন : নাম করেননি। কিন্তু দলবদলুদের যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি, তাতে বিদায়ী সভাপতির শিবিরের ধারণা, বিরোধী দলনেতাকেই কৌশলে তুলোধনা করে রাখলেন সুকান্ত মজুমদার। যারা দলবদলু, সিপিএমের হরেকৃষ্ণ কোঙারকে উদ্ধৃত করে সুকান্ত তাদের কার্যত মলমূত্রের সঙ্গে তুলনা করেন।
আরও পড়ুন-এবার পুজোয় ঘুরে আসতে পারেন হিমালয়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম চুইখিমে
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, যাঁরা রাজ্যপাটের লোভে বা সামান্য ভয়ে দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের বলব, বিশ্বাস থাকলে চলে যাবেন না। আমরা একসঙ্গে লড়ব। যাঁরা চলে গেলেন, তাঁরাও থেকে গেলে ভাল হত। কিন্তু যাঁরা দলের নীতি আদর্শে বিশ্বাস করেননি, তাঁরা চলে গেলেই ভাল। তিনি আরও বলেন, দলের কর্মীরাই সম্পদ। তাঁরা যতক্ষণ আছেন, নেতারা দল ছেড়ে গেলেও কিছু হবে না। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি বলেন, বিজেপিতে আন্তরিক গণতন্ত্র আছে। সংসারে স্বামী-স্ত্রীরও মতভেদ হয়। এত বড় সংসারে মতভেদ হওয়া স্বাভাবিক। তবে মতান্তর থাকলেও মনান্তর নেই।
আরও পড়ুন-কখনও আক্রমণাত্মক, কখনও স্মৃতিচারণায়, মমতা-আবেগ
সুকান্ত মূলত আপাতদৃষ্টিতে বিজেপিত্যাগীদের উদ্দেশে বললেও দিলীপ ঘোষের শিবিরের বিশ্বাস, এর ইঙ্গিত শুভেন্দু। কারণ তিনিও দলবদলু। সুকান্ত যা যা বলেছেন তার সবটা শুভেন্দুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিজেপির সূত্র বলছে, সুকান্ত শুভেন্দুর সঙ্গেই চলবেন। কিন্তু শুভেন্দু যাতে দলে বাড়াবাড়ি না করেন, সেজন্য দলবদলুদের সম্পর্কে তাঁর ধারণাটা বলে রাখলেন। বস্তুত দিলীপ জমানায় দল বনাম পরিষদীয় দল একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সুকান্ত এর পুনরাবৃত্তি চান না। তাই প্রথমেই শুভেন্দুকে পরোক্ষে দলবদলুদের সম্পর্কে মূল্যায়নটি মনে করিয়ে দিলেন। আগামিদিনে এরকম আরও মন্তব্য রাজ্য সভাপতির কাছ পাওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।