প্রতিবেদন: শনিবার রাজভবনে (Rajbhawan) গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় রাজভবনে কাটিয়ে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যপাল তাঁকে জানিয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবেন তিনি। এরপরই সুকান্ত মজুমদারকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কুণাল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সুকান্ত মজুমদার এদিন রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যেভাবে অসভ্যতা করেছেন, যেভাবে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তাতে তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ও মর্মাহত। রাজ্য বিজেপি সভাপতি তাই হাত জোড় করে শুভেন্দুর হয়ে রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন। সেটাকে ধামাচাপা দিতে রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উল্টোপালটা কথা বলছেন তিনি। কুণাল আরও বলেন, রাজ্যপাল যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ঠিক তেমনই তৃণমূল কংগ্রেসও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমি এতদিন জানতাম রাজ্যপালের সচিব আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী। কিন্তু রাজ্যপাল যে সুকান্ত মজুমদারকে নতুন পাবলিক রিলেশন আধিকারিক হিসাবে নিযুক্ত করেছেন সেটা জানা ছিল না। পরে রাজভবনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস জানান, দুর্নীতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলবেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মাস দুয়েক আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যপাল নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রণয়ন এবং মানুষের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। এর পাশাপাশি রাজ্যপাল জানিয়েছেন রাজ্যের লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি। সে কারণে রাজ্যপাল তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করানোর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সরকারকে তিনি এই সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তা মেনে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্তও কার্যকর করা হচ্ছে না। ইউজিসির বিধি না মেনে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তাঁদের ব্যাপারেও আইন মেনে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।