পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ-বঙ্কিমচন্দ্রের ছবি, ক্ষমা চান সুকান্ত : তৃণমূল

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র! বাংলার অপমান, বাঙালির অপমান, জাতির অপমান, দেশের অপমান।

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র! বাংলার অপমান, বাঙালির অপমান, জাতির অপমান, দেশের অপমান। এখনই ক্ষমা চান সুকান্ত, দুঃখপ্রকাশ করুন। বৃহিস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি জানালেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কুণাল বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস মনীষীদের শ্রদ্ধা করে। দলের কেউ কোথাও যদি কোনও বিচ্যুতির কাজ করে, তবে দল ব্যবস্থা নেয়। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার যা করেছেন, তার জন্য মাথা নিচু করে ক্ষমা চেয়ে নিন বাংলার মানুষের কাছে।

আরও পড়ুন-শিকাগো বক্তৃতার ১৩৩ বছর স্মরণে বাংলা জুড়ে ফুটবলযজ্ঞ, লক্ষ্য বাঙালি ফুটবলার তুলে আনা শুরু স্বামী বিবেকানন্দ কাপ

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিজেপির আসলে এটাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি। একসময় ওরা বলেছে বোলপুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে অন্য মূর্তিতে মালা পরিয়েছে! কোনও কোনও বিজেপি নেতা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের গায়ের রঙ কালো ছিল, তাই কেউ তাঁকে কোলে নিতে চাইত না। ব্রাত্যর কথায়, বঙ্কিমচন্দ্র অন্য জাতীয়তাবোধের কথা বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ আন্তর্জাতিকতাবাদের কথা বলেছেন। দুই ভাবনা। যার কোনওটাই ওরা বোঝে না। আর বোঝে না বলেই পায়ের কাছে বাংলার দুই মনীষীকে রাখার পরেও কোনও চেতনা নেই, মাথা নত করে ক্ষমা চাওয়ার অভিপ্রায়টুকুও নেই।

আরও পড়ুন-দুই বাঘিনির মৃত্যুতে বিশেষ তদন্ত কমিটি

শিক্ষামন্ত্রীর কটাক্ষ, বিজেপি বাংলার ঐতিহ্য-সংস্কৃতি জানে না। আর জানে না বলেই বলেছিল বাংলায় নাকি পুজো হয় না! কিন্তু পৃথিবী বুঝেছে। দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। আর দিল্লির বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, দিল্লির দুর্গাপুজোয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখতে হবে। বাংলায় এসব ভাবা যায়! মুখ্যমন্ত্রী পুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। অনুদান দিচ্ছেন। দুর্গাপুজো এখন পৃথিবীর আকর্ষণ। এই পুজো বাংলার, বাঙালির, বাংলার সব ধর্মের মানুষের। এরা কখনও প্রতিমার পাশে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখার ফতোয়া দিচ্ছে। কখনও আমিষ না খাওয়ার ফতোয়া। কখনও মা দুর্গার বংশপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন, কটাক্ষ করছে। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবি ঠাকুরের নাম তুলে দিচ্ছে বিশ্বভারতী থেকে। আবার কেউ বলছেন, রবীন্দ্রনাথ জন্মেছিলেন বিশ্বভারতীতে!
তৃণমূলের কটাক্ষ, এটাই বিজেপির বাংলাপ্রেম, রবীন্দ্রপ্রেম। ব্রাত্য বলেন, সুকান্ত যা করেছেন, বাংলার কেউ তা মানতে পারেন না। যাঁরা বাংলায় থাকেন, কিন্তু বাংলাভাষী নন, তাঁরাও বিজেপিকে পছন্দ করেন না। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে মাথানত করে ক্ষমা চান।

Latest article