প্রতিবেদন : একটার পর একটা ঘটনা আর তাতে বিজেপির কুকীর্তি সামনে আসছে। এবার আন্দোলনের নামে অভব্য আচরণ ও জুতো ছুঁড়ে মারার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটালেন বিজেপির ট্রেনি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার মহেশতলায় যাওয়ার চেষ্টা করলে জিঞ্জিরাবাজারে তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবীন্দ্রনগর এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকেই পুলিশ সেখানে পৌঁছতে দিচ্ছে না।
এরপরেই পুলিশের বাধা পেয়ে সেখান থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যেতে গেলে, কালীঘাট ঢোকার মুখেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি-সহ দলের অন্য নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়িতে ওঠার সময়, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) একটি চটি ছুঁড়ে মারে ডিউটিরত পুলিশ আধিকারিকদের দিকে। আর সেটা গিয়ে লাগে পাগড়ি পরা এক পুলিশ আধিকারিকের মাথায় যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। সুকান্তর এহেন আচরণে নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল। দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন পুলিশ আধিকারিকের এভাবে সম্মানহানি করা যায় কি? প্রসঙ্গত, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবীন্দ্রনগর ও নাদিয়াল থানা এলাকায় বুধবারের অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ৭টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিন সুকান্ত মজুমদারের এই ন্যক্কারজনক আচরণের নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। লেখা হয়, ‘বিজেপির ঘৃণার কোন সীমা নেই, এমনকি যখন এটি একটি গোটা সম্প্রদায়কে উপহাস করার বিষয় আসে তখনও নয়। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একজন পাগড়ি পরা পুলিশ অফিসারকে “খালিস্তানি” বলে আখ্যা দেন। এবার, তাঁদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একজন কর্তব্যরত অফিসারের পাগড়িতে চটি ছুঁড়ে মারেন। এটি প্রতিটি শিখ, প্রতিটি উর্দিধারী অফিসার, মর্যাদা ও শালীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটি ভারতীয়ের অপমান। ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অহংকারে অন্ধ এবং ঘৃণায় উজ্জীবিত বিজেপি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। বিজেপি এটাই। তাদের কাছে মানবিকতা, মূল্যবোধের কোনও গুরুত্ব নেই। তাঁরা শুধুমাত্রই সহিংসতায় বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন-বিমান দুর্ঘটনায় স্তব্ধ ক্রীড়ামহল