সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : সন্ধে নামার আগেই দুর্যোগ সুন্দরবনের আরও কাছাকাছি। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং রাতে সুন্দরবনের কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশের দিকে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার জোড়াফলায় আবার একবার বিপদের মুখে পৃথিবীর বৃহত্তম বাদাবন। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ কোটালের জেরে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে ১৯ থেকে ২৩ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। যারফলে মাটির বাঁধ উপচে লোকালয়ে জল ঢুকতে পারে। প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন –ইটিন্ডার সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো হয় ইছামতীর গলদা চিংড়ির নৈবেদ্য দিয়ে
কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য জেলা প্রশাসন উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দিয়েছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে তুলে আনা হয়েছে। প্রয়োজনে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। খোলা হয়েছে ২৯৫টি ত্রাণ শিবির। সোমবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার পর দুর্যোগ বাড়ে। আকাশ মেঘে ঢেকে আছে। রবিবার থেকে একনাগাড়ে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাস বইছে। ঠান্ডা বাতাস, কাঁপুনি ছিল। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি ও গোসাবাতে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল গোসাবা, পাথরপ্রতিমা ও কুলতলিতে।
আরও পড়ুন –৬০০ বছরের মা মাটিয়া কালী
সোমবার সকাল থেকে সুন্দরবন সহ জেলার সব ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন বেলায় সুন্দরবনের বিছিন্ন দ্বীপ সাগরের ঘোড়ামারা ও নামখানার মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু করে প্রশাসন। সাগর ও বকখালিতে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা লাগাতার সতর্ক প্রচার চালাচ্ছে। পুলিশও প্রচার চালায়। কালীপুজো কমিটিগুলি দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। কালীপুজোতেও দীপ জ্বলেনি অনেক বাড়িতে। আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় প্রহর অতিবাহিত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ বাসিন্দার। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে। এখনও বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।