সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : নিম্নচাপ ও কোটালের প্রভাব দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ মহকুমায় সবচেয়ে বেশি পড়েছে। শুক্রবারও জলোচ্ছ্বাসে একাধিক নদী ও সমুদ্রবাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে লোকালয়ে। কোটালে জলস্তর বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ। সাড়ে পাঁচ মিটার জলস্তর বেড়েছিল। সঙ্গে ছিল পুবালি দমকা বাতাস। যার জেরে ফুলেফেঁপে ওঠে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্র। নিরাশ্রয় শতাধিক মানুষ। নোনা জলে প্লাবিত চাষের জমি, পুকুর।
আরও পড়ুন-
নষ্ট হয়েছে ঘরের চাল-ডাল, মজুত খাদ্যসামগ্রী। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাগর ব্লক। বঙ্কিমনগরের অবস্থা ভয়াবহ। কয়েকশো মিটার নদীবাঁধ পুরোপুরি ধুয়ে গিয়েছে। বোটখালি ও মহিষামারিতে জল ঢুকেছে মাটির বাঁধ উপচে। বঙ্কিমনগরের পঞ্চাশটির বেশি কাঁচাবাড়ি জলমগ্ন। বাসিন্দাদের পাশের স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা শুক্রবার বঙ্কিমনগর গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির নির্দেশ দেন। অমাবস্যার কোটালের আগে বাঁধ মেরামতির জন্য সেচ আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত কপিলমুনি মন্দিরের সমুদ্রতট। দু’দিনের জলোচ্ছ্বাসে তটের বড় অংশ সাগরে মিশে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীকে ক্রমশ পিছিয়ে দিচ্ছেন উপাচার্য
ক্ষতি হয়েছে মৌসুনির বালিয়াড়া ও সল্টঘেরির হোম-স্টে কটেজগুলির। ফ্রেজারগঞ্জের দাসকর্নার ও হাতিকর্নারেও জল ঢুকেছে। বঙ্গোপাসাগরের তট তীরবর্তী মৎস্যজীবীদের গ্রামগুলির কাঁচাবাড়িতে জল ঢুকেছে। সেচ দফতর তড়িঘড়ি বেহাল বাঁধ মেরামতির উদ্যোগ নিয়েছে। পাঠানো হচ্ছে ত্রিপল ও শুকনো খাবার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাগর ব্লক প্রশাসন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল।