প্রতিবেদন : মহাকাশ থেকেই সামনের নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে চান সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যালটেরও ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। পৃথিবী থেকে ৪২০ কিমি উচ্চতায় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাংবাদিকদের কৌতূহলও মিটিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা এবং তাঁর সঙ্গী বুচ। শুক্রবার রাতে এটি সরাসরি সম্প্রচার করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সুনীতা দ্বিধাহীনভাবে বলেছেন, আমরা যে পেশায় যুক্ত, তা এমনই অনিশ্চিত। আমরা আগেই আন্দাজ করেছিলাম, আমাদের পৃথিবীতে ফেরা কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমরা ভাল আছি। এটাই আমাদের সবচেয়ে আনন্দের জায়গা। আমি মহাকাশে থাকতেই ভালবাসি।
আরও পড়ুন-হাসিনা কি ফিরছেন বাংলাদেশে? জল্পনা উসকে দিল অডিও ক্লিপিংস
লক্ষণীয়, ৮ দিনের জন্য মহাকাশ সফরে গিয়ে তাঁরা আটকে পড়েছেন সেখানেই। কারণ ৫ জুন ফ্লোরিডা থেকে যে বোইং স্টারলাইনে চেপে তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন মহাকাশে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পৌঁছানোর লক্ষ্যে, সেই মহাকাশযানে চেপেই তাঁদের ফিরে আসার কথা ছিল পৃথিবীতে। কিন্তু দেখা যায়, ওই যানে লিক করছিল হিলিয়াম গ্যাস। ফলে ঝুঁকি নেয়নি নাসা। কারণ ওই গুরুতর ত্রুটিপূর্ণ মহাকাশযানে তাঁরা ফিরলে যে কোনও মুহূর্তেই বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা। তাই নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকাশেই থাকবেন ২ মহাকাশচারী। সেই সময়ের মধ্যে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজও সেরে নেবেন সেখানে। তারপরে মহাকাশে সুনীতাদের আনতে যাবে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের মহাকাশযান। ইতিমধ্যেই ত্রুটিপূর্ণ বোয়িং স্টারলাইনারটিকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পৃথিবীতে। তবে সুনীতাদের নিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আছেন মোট ১২ জন নভশ্চর। কিছুদিন আগেই সুনীতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ২ রুশ এবং একজন মার্কিন মহাকাশচারী। সকলেই ডুবে আছেন গবেষণায়। আরও ২ জন সেপ্টেম্বরেই সেখানে পৌঁছানোর অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম নির্দেশের অপব্যাখ্যা বিজেপির, ফাইলে সই করতে বাধা নেই কেজরির
সাংবাদিকদের কৌতূহলের জবাবে উইলমোর বলেছেন, আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে এসেছি। আমরা মহাকাশযানের পাইলট। সেই যানকে খালি অবস্থায় ফেরত যেতে দেখাটা আমাদের পক্ষে সত্যিই খুব কঠিন। কিন্তু জীবনটাই তো এমন।