প্রতিবেদন : প্রায় ন-মাস ভরশূন্য দুনিয়ায় থাকায় প্রাথমিকভাবে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনায় হতে পারে সমস্যা। তাই পৃথিবীতে ফিরেই বাড়ি না গিয়ে সুনীতা (Sunita), বুচ উইলিয়ামসদের আস্তানা হতে চলেছে রিহ্যাব। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, একটা দীর্ঘ সময় ভরশূন্য অবস্থায় কাটানোর ফলে তাঁদের শরীরে একাধিক পরিবর্তন আসবে, যা পৃথিবীতে চলাচলে বাধা দেবে। সেক্ষেত্রে ফের পৃথিবীতে স্বাভাবিক জীবনযাপনে দীর্ঘ সময় রিহ্যাবে কাটাতে হবে তাঁদের। জানা যাচ্ছে, বুধবার ফিরতে পারেন এই দুই মহাকাশচারী। তাঁদের রিহ্যাবে পাঠানোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছে নাসা।
আরও পড়ুন-ফুরফুরায় শুরু তৎপরতা, কাল ইফতারে মুখ্যমন্ত্রী
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময় ভরশূন্য থাকার ফলে সবার আগে যে সমস্যার সম্মুখীন হবেন সুনিতা ও বুচ তা হল বেবি ফিট। সাধারণ অবস্থায় হাঁটা-চলার জন্য পায়ে যে পরিমাণ চাপ দেওয়ার প্রয়োজন হয় মহাকাশে তার প্রয়োজন হয় না। ভেসে ভেসে হাতের ব্যালান্সে চলাচল করার ফলে পা দিয়ে চলাচলের অভ্যাস চলে যায়। ফলে পায়ের তলার অপেক্ষাকৃত মোটা চামড়া আবার নরম হয়ে যায়। শিশুরা প্রথম হাঁটার সময় যে সমস্যার সম্মুখীন হয়, এক্ষেত্রেও সেই সমস্যা হবে তাঁদের। পৃথিবীতে হাঁটার সময় সেই নরম চামড়ায় চাপ দিয়ে হাঁটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিকেই ‘বেবি ফিট সমস্যা’ বলা হয়। এ ছাড়াও ভরহীনতার সমস্যার সঙ্গেও লড়াই করতে হবে দুই মহাকাশচারীকে। প্রায় ন-মাস ভরশূন্য দুনিয়ায় থাকায় প্রাথমিকভাবে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনায় তাঁদের সমস্যা হবে। অনেক অনুভূতি বেশি তীব্র হয়ে সমস্যা তৈরি করবে। মূলত হাত-পায়ের হাড়ের ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে, পৃথিবীতে স্বাভাবিক চলাফেরার জন্যই তাঁদের দীর্ঘ রিহ্যাবের সাহায্য নিতে হবে।