সুপার-ডিন থেকে নিরাপত্তারক্ষীকে জেরা পুলিশের

Must read

প্রতিবেদন : ছাত্র-মৃত্যুর (Jadavpur Student Death) ঘটনায় যাদবপুর কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসছে আরও অভিযুক্তের নাম। ২ জন সন্দেহভাজনকে খুঁজছে পুলিশ। এরই মধ্যে হস্টেল সুপারের বিস্ফোরক বয়ান সামনে আসায় আরও বিপাকে কর্তৃপক্ষ। হস্টেলে কীভাবে দিনের পর অবাধে র‍্যাগিং ও নেশার আসর চলত তা উঠে এসেছে সুপারের বয়ানে। সব জেনেও কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও জারি ছিল টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকদের ধরনা-বিক্ষোভ কর্মসূচি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশনও জমা দেন টিএমসিপি নেতারা। তলব পেয়ে এদিন লালবাজারে গিয়ে দেখা করেন ডিন অফ স্টুডেন্ট।
তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজন সন্দেহভাজনের খোঁজ চলছে। সেই অভিশপ্ত রাতের ঘটনা উঠে এসেছিল হোস্টেলের এক নিরাপত্তারক্ষীর বয়ানে। এদিন সেই নিরাপত্তারক্ষীকেও তলব করেছে পুলিশ। সেদিন রাতে যে ট্যাক্সিতে করে জখম ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁরও খোঁজ মিলেছে। সেদিন রাতের কথা উঠে এসেছে তাঁর গলাতেও। সবমিলিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই চাপে পড়ছেন সেই রাতে হস্টেলে থাকা একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা।
হোস্টেলে কী ঘটে তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন হস্টেল সুপার। তিনি বলেন, মেন হস্টেলে বসত নেশার আসর। হস্টেলের ঘরে-ছাদে অবাধে র‍্যাগিং চলত। যার নেতৃত্ব দিত এক শ্রেণির প্রাক্তনরা। প্রাক্তনীদের দাদাগিরি চলত হোস্টেল জুড়ে। হোস্টেলে নজরদারি করতে গেলে বাধা দেওয়া হত। সুপাররা দোতলা বা তিনতলায় গেলে আপত্তি করত আবাসিকরা। সব জেনেশুনে দিনের পর দিন এই অবস্থা চললেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। হোস্টেলে যে কোনও আইনের শাসন ছিল না এদিন তাও মেনে নিয়েছেন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়। ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur Student Death) ঘটনায় ডিন অফ স্টুডেন্টসকে বৃহস্পতিবার লালবাজারে তলব করা হয়েছিল। প্রায় ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে হস্টেলে নিয়ন্ত্রণ না থাকার কথা কবুল করে নেন তিনি। তিনি বলেন, ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে বিধি কার্যকর করা যায়নি।
বৃহস্পতিবারও তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ধরনা-কর্মসূচি জারি ছিল। বুধবার না পারলেও এদিন কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন টিএমসিপি নেতারা। সন্ধেয় ধরনা মঞ্চের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে গানের মাধ্যমে চলে প্রতিবাদ কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ছিলেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন- বিজেপি নেতাদের প্রকাশ্যে লাথালাথি

Latest article