প্রতিবেদন : দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach- Bengal) ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে গোটা বাংলায়। এবার ক্যাম্পেইন সং লঞ্চ করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকাল ১১টায় তৃণমূল ভবনে তৃণমূল যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ, আইটি ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এই প্রচার-গান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। গান তৈরি করেছেন প্রখ্যাত শিল্পী জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পরই সুপার হিট এই প্রচার-গান। ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতেও। এই প্রচার-গানে উঠে এসেছে বাংলার প্রতিচ্ছবিই।
এখন থেকে গোটা বাংলায় দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach- Bengal) কর্মসূচি চলাকালীন এই গান বাজানো হবে। প্রচার-গান প্রকাশের সঙ্গেই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলিকে একহাত নেন সায়নী- দেবাংশু ও তৃণাঙ্কুর। দিদির সুরক্ষা কবচের কর্মসূচির দিন আরও বাড়তে পারে বলে জানান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, একটা টার্গেট নিয়ে এগিয়েছিলেন। একেকটা পরিবারে যেমনটা ভাবা হয়েছিল তার থেকে সময় বেশি লাগছে। প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগছে, তার কারণেই সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির সময়সীমা বাড়ছে। সায়নী বলেন, ৬০ দিনের জায়গায় ১২০ দিন হলে বাংলার মানুষ স্বাগত জানাবেন। দলবদলু চোর শুভেন্দুকে তোপ দেগে বলেন, ও তো মামলায় বেঁচে আছে। যে নিজে লোডশেডিং করে জেতে সে কীভাবে বাংলার মানুষকে আলো দেখাবে! হিরণকেও এদিন ধুইয়ে দেন সায়নী। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আছে তাই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে পারছে। যেটা উত্তরপ্রদেশে নেই। হিরনের সৎসাহস নেই বলার যে অক্সিজেনের অভাব পড়েছে বিজেপিতে।সেফ প্যাসেজ খুঁজছে। এমন কোনও কাজ করেননি বিধায়ক হিসেবে যে ওঁকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাঁর সংযোজন, তৃণমূল কংগ্রেসের এত টাকা নেই যে ছবি বিকৃতি করবে। আমাদের দরজা খুলবে কী খুলবে না সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত। আমাদের টিম রেডি, বাকি যারা আসবেন তাঁরা একস্ট্রা খেলোয়াড়। পারলে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের মনে হলে কনটেস্ট করুন দেবের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- মোদির গুজরাতে পরপর প্রশ্ন ফাঁস
তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি সরকার মুখে বলছে, আসুন বিনামূল্যে উজালার গ্যাস নিন, আবার সেই বিজেপি সরকার বলছে যার বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার আছে তারা আবাস যোজনার আওতায় আসবে না। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ডিমান্ড করছে বিজেপি সরকার, কিন্তু যাদের বাড়িতে ফোন আছে তাদেরও আবাস যোজনার আওতায় আনবেন না তাঁরা। এরম বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থাকলে আবাসের গৃহ পাওয়া যাবে না বলছে।
এই দ্বিচারিতা মানব না। তৃণাঙ্কুরের সংযোজন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জাত, ধর্ম, বর্ণ দেখে তাদের বাড়িতে প্রকল্প দেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের এতগুলো প্রকল্প, আপনারা বুকে হাত রেখে বলুন তাদের তো এত প্রকল্প, তাদের একটা কোনও প্রকল্প আপনাকে ছুঁয়েছে কি না, আপনার বন্ধু-বান্ধবকে ছুঁয়েছে কি না, আপনার আত্মীয়স্বজন বা আপনার পাড়ার পড়শিদের ছুঁয়েছে কি না। তাহলেই বুঝতে পারবেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের সঙ্গে বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর তফাত, তাহলেই বুঝতে পারবেন এই কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী মানসিকতা ও মিথ্যাচার।