আসানসোলে আরও একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল

প্রশাসন সবসময় সহযোগিতার জন্য থাকবে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত প্রস্তাবিত এই হাসপাতালে ৭৫০টি শয্যার ব্যবস্থা থাকবে।

Must read

অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আরও একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি হতে চলেছে। আসানসোলের কালিপাহাড়ির অদূরে নিংঘায় ২ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া প্রস্তাবিত ৭৫০ শয্যার মাল্টি-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, প্যারামেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং ট্রেনিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। অনুষ্ঠানে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ।

আরও পড়ুন-ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে

আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, একটা সময় ছিল যখন আসানসোলের মানুষদের চিকিৎসার বড় কোনও প্রয়োজন হলে কাছাকাছি দুর্গাপুর বা কলকাতায় যেতে হত। আসানসোলে সেভাবে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যেত না। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছবি বদলাতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা পরিষেবা তলানিতে এসে পৌঁছেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর আসানসোলের মহকুমা হাসপাতালকে জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। একটি শহর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে যখন সেই শহরে বিভিন্ন মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যেই আসানসোলে দুটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রস্তাব আমাদের কাছে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই প্রস্তাব বিবেচনাধীন আছে। বর্তমানে এই হাসপাতাল হওয়ার ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অর্থনীতিও মজবুত হবে শিল্পাঞ্চলের। পাশাপাশি তিনি এই প্রচেষ্টার জন্য হাসপাতালের অন্যতম নির্দেশক জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে ধন্যবাদ জানান। রানিগঞ্জের বিধায়ক ও এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আশা করি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত বৈধ নথি নিয়েই এই উদ্যোগে এগিয়েছেন।

আরও পড়ুন-বুঝে খান সুরক্ষিত থাকুন

প্রশাসন সবসময় সহযোগিতার জন্য থাকবে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত প্রস্তাবিত এই হাসপাতালে ৭৫০টি শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। তবে প্রথম পর্যায়ে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এই হাসপাতালে হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, স্নায়ুসমস্যা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করার পরিকাঠামো থাকবে। এইমসের মতো প্রথম শ্রেণির হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের এখানে আনা হবে। যাঁরা রোগীদের পরিষেবা দেবেন। মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধাও পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি এখানে একটি প্যারামেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং ট্রেনিং কলেজও তৈরি করা হবে। নার্সিং ট্রেনিং কলেজে ৩ বছরের প্রশিক্ষণ দিয়ে নার্সদের প্রস্তুত করা হবে। সরকার স্বীকৃত কোর্স এখানে পড়ানো হবে।

Latest article