শান্তনু বেরা, কাঁথি : মানুষের সঙ্গে থাকলে, তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হলে মানুষও ঠিক সময়ে তাঁর পাশে থাকে। তার অকাট্য প্রমাণ মিলল কাঁথিতে। কাঁথি অধিকারী-গড় বলে পরিচিত। তার ওপর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড একেবারেই অধিকারীদের তাঁবের এলাকা। সেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মসূচি আর নিজের নেতৃত্ব আর জনসংযোগ নিয়ে একরকম অসম লড়াইয়ে নেমেছিলেন তরুণ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা সুপ্রকাশ গিরি। আর হইহই করে জিতেও গিয়েছেন। ছাত্র ও যুব সংগঠন থেকে ধাপে ধাপে উঠে এসে মাত্র ৪০ বছর বয়সেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন সুপ্রকাশ। অধিকারীরা দলের সঙ্গে গদ্দারি করার পর, তাঁদের চোখে চোখ রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) হয়ে জেলা জুড়ে সংগঠিত লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুখ সুপ্রকাশ। আমফান-ঝড় কিংবা পটাশপুরের বন্যাতে ত্রাণ বিতরণে তাঁর তৎপরতা নজর কেড়েছিল। ত্রিপুরায় পুরভোটে গিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন। সেখানে যে আসনে জেতে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই এলাকার পর্যবেক্ষক ছিলেন কাঁথির এই ভূমিপুত্র। মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ সম্পর্কে দলনেত্রী প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন, ‘‘এই জেলায় আগে সুপ্রকাশের সঙ্গে লড়াই করো। তারপর তৃণমূলের সঙ্গে লড়বে।’’ এবার কাঁথি পুরভোটে কঠিন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন সুপ্রকাশ। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছেন। ২০১৭ থেকে ২০২০-র জুলাই মাস পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকর সভাপতির দায়িত্বে। ২০২০ থেকে যুব কংগ্রেস সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন আশুতোষ কলেজ থেকে বিএসসি গ্র্যাজুয়েট এবং ম্যানেজমেন্টে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা করা সুপ্রকাশ। তিনি যে রাজ্য-রাজনীতিতে অনেক দূর যাবেন, তা এখনই বলে দেওয়া যায়।