সংবাদদাতা, কাঁথি : নির্বাচনের আগে করজোড়ে দুয়ারে-দুয়ারে হাজির হন। ভোট ফুরোলে টিকি মেলে না। নেতাদের সম্পর্কে এমন বহুপ্রচলিত ধারণা নস্যাৎ করে দিলেন কাঁথি পুরসভার সদ্য নির্বাচিত উপপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি। রবিবার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেন। এবার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হন। জেতার পর সাধারণ মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই এদিন সুপ্রকাশ ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়িতে গেলেন, সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিলেন। জানালেন, ‘ভোটের প্রচারের সময় ওয়ার্ডবাসীকে কথা দিয়েছিলাম, জিতলে ফের আসব। আমাকে বাড়ির ছেলের মতো তাঁরা ভালবাসা দিয়েছেন। মা প্রয়াত শুনে প্রবীণারা মাতৃস্নেহে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। তাই তাঁদের দেওয়া কথা রাখতে এবং সুবিধা-অসুবিধার কথা সামনাসামনি শুনতে, এমন কর্মসূচি শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের উদাসীনতায় আলিপুরদুয়ারে হচ্ছে না আদালত
রবিবার ছুটির দিন বলে এই দিনটা বেছে নিয়েছেন। এই কর্মসূচির জন্য কোনও রাজনৈতিক রঙ দেখছেন না। বলেছেন, ‘কাউন্সিলর হওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি ছিলাম। এখন আমি সব ওয়ার্ডবাসীর কাউন্সিলর।’ প্রথমবার কাউন্সিলর তথা উপপ্রধান হওয়ার পর, সুপ্রকাশের এমন কৃতজ্ঞতাবোধ দেখে খুশি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডবাসী। এক গৃহবধূ জানান, ‘এই ছেলের রক্তে রাজনীতি। কথা রাখার জন্য যাঁর এত বিনয়ী পদক্ষেপ, তিনি অনেক দূর যাবেন।’