সংবাদদাতা, কাঁথি : তৃণমূল প্রার্থী— ‘‘আশীর্বাদ করুন আমি সঙ্গে থাকব।” প্রবীণা ভোটার— (সস্নেহে মাথায় হাত রেখে) “তোমার বাবা–মায়ের কোল ভর্তি থাকুক, আশীর্বাদ করছি।’’তৃণমূল প্রার্থী— ‘‘আমার মা তো নেই! গত হয়েছেন।’’ভোটার— (সস্নেহে বুকে টেনে নিয়ে) ‘‘মা নেই তাতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। আমিই তো মা!’’ কোনও সিনেমা বা সিরিয়ালের সংলাপ নয়। কাঁথি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্রকাশ গিরির (Suprakash Giri) বাড়ি বাড়ি প্রচারের একটা খণ্ডচিত্র। এটি তাঁর ও প্রবীণা সুমিতা দাসের সঙ্গে কথোপকথন। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই ওয়ার্ডে পরপর দু’বার জিতে তৃতীয়বারের জন্য ভোট চাইতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী যখন ভোটারদের নানা বিরূপ প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন, তখন তৃণমূল যুব নেতা সুপ্রকাশকে (Suprakash Giri) এভাবেই সবাই স্নেহ–ভালবাসায় আপন করে নিচ্ছেন। রবিবার সন্ধ্যায় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস এই ওয়ার্ডে বৈঠক ডেকেছিল। ভিড় ছিল মহিলাদের। ছোট–বড় সকলের ভালবাসায় আপ্লুত সুপ্রকাশ। জানান, ‘‘জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। মায়েদের এই স্নেহময় ভালবাসা কোনওদিন ভুলব না। জিতলে এই ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড গড়ে তুলব। সেখানে মায়েদের একটা বড় ভূমিকা থাকবে।’’ প্রচারে রাজনৈতিক রং দেখছেন না। এমনকী গিয়েছেন বিরোধী প্রার্থীর বাড়িও। ‘সৌজন্যের রাজনীতি’ দেখে মুগ্ধ সবাই।