আর জি করের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের দায়ে যখন দোষী সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবনের বদলের ফাঁসির দাবি উঠেছে দিকে দিকে ঠিক তখনই সুপ্রিম কোর্ট এক ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস করার রায় দিয়েছে। তাতে অবাক দেশবাসী। আচমকা কেন এই রায়? প্রশ্ন উঠছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মুম্বইয়ের তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী এস্টার অনুহিয়াকে (২৩) ধর্ষণ ও খুনের (Esther Anuhaya rape-murder case) অপরাধে চন্দ্রভান সনাপকে ২০১৫ সালে ফাঁসির সাজা শোনায় বিশেষ মহিলা আদালত। নিম্ন আদালতে ফাঁসির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সনাপ বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানায়। বোম্বে হাইকোর্টও আবেদন খারিজ করে ফাঁসির সাজা বহাল রাখে। এদিন সনাপের পক্ষে রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন- কুম্ভমেলা স্পেশাল ট্রেনে হামলা, যোগী রাজ্যে কোথায় নিরাপত্তা
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গাভাই, প্রশান্তকুমার মিশ্র ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ সনাপকে বেকসুর মুক্তি দেওয়ার সময় জানায়, ঘটনাটির মধ্যে বিচার ব্যবস্থায় ফাঁক রয়েছে। চোখে দেখার বাইরেও অনেক কিছু রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, “সনাপকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা চূড়ান্তভাবে অনুচিত। আবেদনকারী অভিযুক্ত অপরাধে দোষী নয়। আমরা বেকসুর মুক্তি দিচ্ছি।” সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় তথ্যপ্রমাণ ও ধর্ষণ-খুনের সপক্ষে জোরাল যুক্তির অসঙ্গতি ও অভাব রয়েছে।
কী ঘটেছিল?
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এস্টার অনুহিয়া (Esther Anuhaya rape-murder case) কাজের সূত্রে বিশাখাপত্তনম থেকে মুম্বই আসেন। অফিসের পর লোকমান্য তিলক টার্মিনাসে এস্টারকে লিফট দিতে চায় সনাপ। অভিযোগ ওঠে, তাঁকে গাড়িতে তুলে কুঞ্জরমার্গে ধর্ষণ করে খুন করে সনাপ। এরপর অভিযুক্ত মৃতার ল্যাপ্টপ-সহ সমস্ত জিনিস হাতিয়ে নেয়। যুবতীর দেহ যাতে শনাক্ত না করা যায়, তার জন্য জ্বালিয়ে দিয়েছিল সে। ১৭ জানুয়ারি যুবতীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয় ভান্ডুপ থেকে। পরে রেল পুলিশ অপরাধী সনাপকে সিসিটিভি দেখে শনাক্ত করে।