নয়াদিল্লি : বিজেপি-শাসিত পুলিশের হেফাজতে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন সাংসদ তথা বাহুবলী আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed Murder) ও তাঁর ভাই আশরাফ আহমেদ হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে করা আবেদন শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই আবেদনের শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- আপাতত কার্যকর নয় তলবের নোটিশ, অভিষেককে চিঠি দিল সিবিআই
২০১৭ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশে যত এনকাউন্টার হয়েছে, তার সব ক’টির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিশাল তিওয়ারি নামক এক আইনজীবী। পুলিশি হেফাজতে থাকা আতিকের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও মামলায় যুক্ত করেছেন তিনি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলাটি নোট করেন। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিবিদ এবং গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed Murder) হত্যার তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক ১৮৩টি এনকাউন্টারের মামলায়। এ ছাড়াও পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে আতিক এবং আশরফের মৃত্যু হল সে বিষয়েও তদন্ত করা হোক। সেখানে আরও বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পুলিশকে চূড়ান্ত বিচারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে না। শাস্তির বিষয়টি বিচারবিভাগের অধীনেই থাকা উচিত। এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ তুলে এই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। এমন কাজ রাজ্যকে পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত করে। গত ১৩ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদের। আবেদন করেও শনিবার ছেলের শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেননি আতিক ও তাঁর ভাই আশরফ। ছেলের শেষকৃত্যের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশি প্রহরা ও সাংবাদিকদের উপস্থিতির মধ্যেই জয় শ্রীরাম শ্লোগান দিয়ে তিন যুবক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় আতিক ও আশরফকে। খুনে ধৃত তিন যুবক এখন জেল হেফাজতে। এদিকে দুই ভাইয়ের খুনের ঘটনার পর সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, জেল থেকে বেরোলেই খতম করে দেওয়া হবে আতিক ও আশরাফকে, এমন হুমকি তাঁদের দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশকর্তা। আতিক আহমদের ভাই আশরফকে এমনই হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি করলেন তাঁদের আইনজীবী বিজয় মিশ্র। আইনজীবীর দাবি, প্রয়াগরাজ থেকে বরেলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আশরফকে। পুলিশ লাইনে নিয়ে গিয়ে ওই পুলিশকর্তা হুমকি দেন, এ যাত্রায় বেঁচে গেলি, কিন্তু জেল থেকে বেরোনোর ১৫ দিনের মধ্যে খতম করে দেব। আইনজীবীকে তখন বিষয়টি জানিয়েছিলেন আশরফ।