গুজরাত হাইকোর্টকে (Gujarat High Court) তীব্র আক্রমণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের বিরোধীতা করতে পারে না দেশের কোনও আদালত জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার আরেকবারও মামলার শুনানিতে গুজরাত হাইকোর্টের বিরুদ্ধে অহেতুক সময় নষ্টের অভিযোগ উর্ধ্বতন আদালতের।
ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ২৫ বছরের তরুণীর গর্ভপাত করানো নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল গুজরাত হাইকোর্টে। গত ৭ অগাস্ট গুজরাত হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পর আদালতের নির্দেশেই ১০ অগাস্টের মধ্যে ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করে একটি টিম। তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, গর্ভপাতে ওই তরুণীর কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু রিপোর্ট জমা পড়ার গুজরাত হাইকোর্ট ১২ দিন পরে আগামী শুনানির দিন স্থির করে। পরে শুনানির দিন এগিয়ে আনা হলেও ওই তরুণীর গর্ভপাতের অনুমতি খারিজ হয়ে যায়। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। সেখানেই সুপ্রিম কোর্টে গুজরাত হাইকোর্টকে তীব্র ভর্ৎসনা করে জানায়, এমন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আদালত কেন এত সময় নষ্ট করল? একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত বলে, ২১ অগাস্ট মামলার শুনানি হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ আসার পরেই আবার নতুন করে মামলার রায় ঘোষণা করে গুজরাত আদালত। গুজরাত আদালতের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, আগের রায়ে ত্রুটি থাকায় তা সংশোধন করেই নতুন করে রায় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- সুদীপের মামলায় পদক্ষেপ, যাদবপুরের ছাত্রদের পার্টি করল হাইকোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, “দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশের বিরোধিতা করে গুজরাত হাইকোর্টের এই আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। এসব কী হচ্ছে গুজরাত হাইকোর্টে? গুজরাত হাইকোর্টের এই আচরণ সংবিধানের পরিপন্থী।” পাশাপাশি গুজরাত হাইকোর্টে রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট তরুণীর গর্ভপাতের অনুমতিও দিয়েছে।