প্রশিক্ষণের সময় অক্ষম সেনা ক্যাডেটদের পাশে সুপ্রিম কোর্ট

Must read

প্রতিবেদন: প্রশিক্ষণের সময় অক্ষম হয়ে পড়া সেনা ক্যাডেটদের দুর্দশা নিরসনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা শুরু করেছে। সোমবার শীর্ষ আদালত (Supreme Court) এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছে। বিচারপতি বি ভি নাগারথনা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানিয়েছে, অক্ষম সেনা ক্যাডেটদের মাসিক ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি, বিমা কভারেজ এবং ২০১৬ সালের রাইটস অফ পারসনস উইথ ডিসএবিলিটি অ্যাক্ট-এর অধীনে তাঁদের অধিকারের সুযোগ-সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে। শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে, শুনানির সময় আদালত বিবেচনা করছে মাসিক ক্ষতিপূরণ বাড়ানো যায় কিনা, বিমা কভারেজ থাকতে পারে কি না এবং সেনাদের চিকিৎসার একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ের পরে আহত ক্যাডেটদের পুনর্বাসন প্রশিক্ষণের জন্য পুনরায় মূল্যায়ন করা যেতে পারে কি না। অক্ষমতা আইনের অধীনে ক্যাডেটদের যে অধিকার রয়েছে, তাও পরীক্ষা করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন-রাজনৈতিক চক্রান্তে বাংলাকে লাগাতার বঞ্চনা জল জীবন মিশনের বকেয়া কবে মেটানো হবে?

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে উপস্থিত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) ঐশ্বর্য ভাটি জানিয়েছেন, সরকার বিস্তারিত হলফনামা জমা দেবে। আদালত (Supreme Court) বলেছে ক্যাডেটদের আইনজীবীরাও এএসজিকে পরামর্শ দিতে পারেন। আদালত প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, সেনাপ্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (প্রাক্তন সেনাকর্মী কল্যাণ বিভাগ) এবং সামাজিক বিচার মন্ত্রকের (অক্ষমতা বিভাগ) কাছে নোটিশ জারি করেছে। ক্যাডেটদের আইনজীবীরা আদালতে জানান যে তাঁদের কোনও বিমা কভারেজ নেই এবং কখনও কখনও অনুদান হিসাবেও কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। এটিও উল্লেখ করা হয় যে রাইটস অফ পার্সনস উইথ ডিসঅ্যাবিলিটি অ্যাক্ট তাঁদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আদালত সেনাদের দুর্দশার পরিস্থিতি সম্পর্কে সহানুভূতি দেখিয়ে বলেন, যদি এই অক্ষমতা না হত, তাহলে তাঁরা বাহিনীতে যোগ দিতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রশিক্ষণের সময় তাঁদের নিজেদের ত্রুটি ছাড়াই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে যদি তাঁরা প্রাক্তন সেনাকর্মী হিসাবে মর্যাদা না পান, তবুও তাঁরা কিছু সুবিধা পেতে পারেন। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে যে তারা এমন বিকল্পগুলি অন্বেষণ করবে যেখানে এই ক্যাডেটদের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ফিরিয়ে আনা যায় বা অন্য কোনও উপায়ে তাঁদের পুনর্বাসন করা যায়। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

Latest article