প্রতিবেদন : এতদিন পর্যন্ত ধর্ষণের প্রমাণ দেওয়ার জন্য, ধর্ষিতাকে দিতে হত দু’আঙুলের পরীক্ষা (টু ফিঙ্গার টেস্ট)৷ সোমবার এই বিতর্কিত পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন টু ফিঙ্গার টেস্ট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই পদ্ধতিকে অবৈজ্ঞানিক ও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করে। এ ধরনের পরীক্ষাকে মহিলাদের জন্য যথেষ্ট মর্যাদাহানিকর বলেও মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত। সোমবার এই পরীক্ষা পদ্ধতি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি, এদিনই কেন্দ্রীয় সরকার এবং সমস্ত রাজ্যকে এই সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে অবহিত করতে বলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষার পাঠ্যক্রম থেকেও এই সংক্রান্ত পাঠের বিষয়টি সরাতে হবে।
আরও পড়ুন-আন্তর্জালিক বেতার বা ইন্টারনেট রেডিও-র বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
২০১২ সালে রাজধানী দিল্লিতে নির্ভয়া-কাণ্ডের পরের বছরই এই টেস্টকে নিষিদ্ধ করেছিল শীর্ষ আদালত। তারপরও অবশ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষিতাকে এই ধরনের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সোমবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ৷ শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে নির্দেশিকা পাঠানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষার পাঠ্যক্রম থেকেও এই সংক্রান্ত বিষয় সরাতে হবে।
আরও পড়ুন-ম্যান ইউতে ফিরে আসাটাই বিপর্যয়, বিস্ফোরক রোনাল্ডো
সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় দুই বিচারপতিদ্বয়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, এখন থেকে এই পরীক্ষা পদ্ধতিকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল৷ এরপরও কেউ এই টু ফিঙ্গার টেস্ট করলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ শীর্ষ আদালতের মতে টু ফিঙ্গার টেস্ট করানোর পিছনে রয়েছে সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ। ১০ বছর আগে রায় দেওয়ার পরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কীভাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতি এখনও চলে আসছিল তা নিয়েও এদিন আক্ষেপও প্রকাশ করে বেঞ্চ৷