পেগাসাস-মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে। জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছিলেন ২ সাংবাদিক। এন রাম ও শশী কুমার। তাঁরা আবেদন করেছিলেন কোনও প্রাক্তন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্ত হোক।
সূত্রের খবর, ৩০ জুলাই শুক্রবার বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিব্বল পেগাসাস সংক্রান্ত মামলাটিকে প্রধান বিচারপতি এনবি রমনার সামনে তুলে ধরেন। সিব্বল জানিয়েছেন, “দেশের সাধারণ জনগণ, বিরোধী নেতা, সাংবাদিক বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা নজরদারির আওতায় চলে গিয়েছে। এই ঘটনা ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের কাছে উদ্বেগজনক। ফলস্বরূপ যত দ্রুত সম্ভব মামলার শুনানি প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।” কপিল সিব্বলের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের প্রধান বিচারপতি জানান, “আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হবে।”
আরও পড়ুন-নামকরা এক নার্সিংহোমকে অভিনব জরিমানা স্বাস্থ্য কমিশনের
পেগাসাস স্পাইওয়্যারের লাইসেন্স সরকার বা সরকারি সংস্থা সংগ্রহ করেছে কিনা এবং তা নজরদারি চালাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা জানাতে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দিতে আবেদন করা হয়েছে এন রাম ও শশী কুমারের দায়ের করা পিটিশনে। সুপ্রিমকোর্টে দায়ের করা পিটিশনে প্রবীণ ওই দুই সাংবাদিক আরও বলেছেন, সামরিক পর্যায়ে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেভাবে নজরদারি চালানো হয়েছে তা একাধিক মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এবং তা দেশের গণতন্ত্রের স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমণ চালানোর মতো। এই ধরনের কাজ দেশকে অস্থির করে তোলার এক ধরনের প্রচেষ্টা। অথচ এই ইস্যুতে সরকার বিশ্বাসযোগ্য বা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এখনও।
আরও পড়ুন-৯ বছর পর লভলিনার হাত ধরে অলিম্পিক বক্সিংয়ে পদক ভারতের
পিটিশনকারীদের তরফে অভিযোগে বলা হয়েছে যাদের ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ সামনে এসেছে সেই সকল ফোনের ডেটাবেস বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোতে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই ধরনের হ্যাকিং দেশের বিরুদ্ধস্বর, অবাধ মতামতের কণ্ঠরোধের করার জন্যই কি সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছিল? তাঁদের অভিযোগ, পেগাসাস হ্যাকিং যোগযোগ, চিন্তাভাবনা ও তথ্যগত গোপনীয়তার ওপর সরাসরি আক্রমণ।