অবমাননা মামলায় বিকাশদের ধুয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট, আদালত রাজনীতির জায়গা নয়

আদালত রাজনীতির জায়গা নয়। আদালতকে রাজনৈতিক আঙিনায় পরিণত করার চেষ্টা করবেন না। রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য কোথাও করুন।

Must read

প্রতিবেদন : আদালত রাজনীতির জায়গা নয়। আদালতকে রাজনৈতিক আঙিনায় পরিণত করার চেষ্টা করবেন না। রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য কোথাও করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাকারী এবং তাঁর আইনজীবীকে এই ভাষাতেই তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে শুনানি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার। এই মামলার প্রেক্ষিতেই মামলাকারীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের কড়া সতর্কবার্তা, রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য কোনও প্ল্যাটফর্মে করুন।

আরও পড়ুন-এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় রাজ্যের, বহাল ২০২৫-এর নয়া নিয়োগবিধি

আদালতকে রাজনৈতিক আঙিনায় পরিণত করার চেষ্টা করবেন না। রাজ্যে বেকারদের জন্য যত প্রকারে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলার সরকার, ততবার বিরোধীরা নানাভাবে মামলা করে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকানোর পথে হেঁটেছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সব নির্দেশ মেনে যখন রাজ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করে ফেলেছে তখন ফের সেই প্রক্রিয়াকে আটকাতে আদালত অবমাননা মামলা নিয়োগে আন্তরিকভাবে তৎপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই। তবে এসব কিছুর নেপথ্যেই যে আসলে রাজনৈতিক অভিসন্ধি, তা এবার স্পষ্ট দেশের শীর্ষ আদালতে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভর্ৎসিত খোদ মামলাকারী।

আরও পড়ুন-দেশ ছেড়ে ফেরার রুশ মহিলা সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

একটি দাতব্য সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননা মামলা দায়ের করেন বিচারের পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য পেশের দাবি তুলে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানিতে মামলাকে আরও জটিল করার চেষ্টা চালান মামলাকারীর আইনজীবী। প্রথমেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন কেন এই মামলা। সেখানেই মামলাকারীর পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী মণিন্দর সিং সওয়াল করেন মামলায় আরও সময়ের জন্য। তিনি দাবি করেন ইতিমধ্যেই তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে অবমাননার মামলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সেখানেই প্রধান বিচারপতি মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, আপনার কি ধারণা আপনি অনুমতি পেয়ে যাবেন? আদালতের সামনে কোনওভাবে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। আপনার রাজনৈতিক লড়াই আপনি অন্য কোথাও লড়ুন। এই মামলা চার সপ্তাহ পরে ফের শুনানির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

Latest article