প্রতিবেদন : বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভায় গিয়ে বিজেপির সুরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের কর্মরত বিচারপতি শেখরকুমার যাদব (Shekhar Kumar Yadav)। ইতিমধ্যেই এই পক্ষপাতদুষ্ট বিচারপতিকে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ প্রকাশের দায়ে ইমপিচ করার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিচারপতির হয়ে চড়া সুরে সাফাই গেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা হাইকোর্টের এই বিচারপতি তাঁর সীমা ও নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করেছেন বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এবার বিচারপতি শেখরকুমার যাদবকে ডেকে পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। মুসলিম সম্প্রদায় সম্পর্কে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সপ্তাহে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে কলেজিয়াম।
আরও পড়ুন- যৌন–হরমোন বন্ধ করার ব্যবস্থা হোক, ধর্ষণের সাজা নিয়ে নতুন আবেদন
বিচারপতি যাদব (Shekhar Kumar Yadav) গত ৮ ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইন সেলের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালিত হবে ভারত। এরপর তিনি‘কাঠমুল্লা’ শব্দের ব্যবহার করেন, যা মুসলিমদের বিরুদ্ধে এক ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এই মন্তব্যের পর সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে এবং বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলোচনাও শুরু হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পেন ফর জুডিশিয়াল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড রিফর্মস ভারতের প্রধান বিচারপতির কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে, যেখানে বিচারপতি যাদবের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যসভায় বিচারপতি যাদবের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবও জমা পড়েছে।
গোটা বিতর্কের পর এলাহাবাদ হাইকোর্ট ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি যাদবের রোস্টারে বড় পরিবর্তন করেছে। এতে দেখা গিয়েছে, সোমবার ১৬ ডিসেম্বর থেকে তিনি শুধুমাত্র প্রথম আপিলের মামলাই শুনবেন।