পহেলগাঁও কাণ্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতের

পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে করা একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

Must read

পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে করা একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। আবেদনে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। আদালত এই মর্মে জানিয়েছে এই ধরনের পদক্ষেপ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর “মনোবল ভেঙে” দিতে পারে। আবেদনকারীর তীব্র সমালোচনা করে আদালত বলেছে, আদালতে যাওয়ার আগে আবেদনকারীদের বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করা উচিত ছিল। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের দ্বারা যাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত করা হয় এমনই আর্জি জানিয়েছিলেন মামলাকারী। কিন্তু সেই নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল দায়িত্বশীল হতে হবে। এই সময়ে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া মোটেও যুক্তিপূর্ণ কোন কাজ নয়। বেঞ্চ ক্ষুব্ধ হয়েই প্রশ্ন তোলে, ”সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা কবে থেকে তদন্তে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন? আমরা কবে থেকে এই ক্ষমতা পেয়েছি? আমরা শুধুমাত্র বিরোধের নিষ্পত্তি করি।”

আরও পড়ুন-নিষ্ক্রিয় নীতীশের পুলিশ, ট্যাঙ্কার উল্টে যেতেই তেল লুট

এরপরেই মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়ে দিলেন তিনি তদন্তের আর্জি জানিয়ে ওই মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন। আবেদনকারী জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরে অধ্যয়নরত কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা চেয়েছিলেন, দাবি করেছিলেন যে এই ঘটনার পর তারা আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছে। এরপরেই এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, প্রতিটি ভারতীয় একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতাকে দেখেই এগোতে হবে।”

আরও পড়ুন-জীবন নিয়ে খেলা নয়, বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দা সরিয়ে মেরামতির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। কিন্তু এর মধ্যেই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক সেনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্ত করছে এনআইএ।

Latest article