শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং, আত্মহত্যা রুখতে টাস্ক ফোর্স গড়ল সুপ্রিম কোর্ট

লক্ষণীয়, ২০২৩ সালে দিল্লি আইআইটি-তে মৃত্যু হয়েছিল ২ পড়ুয়ার। ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল সেই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে।

Must read

প্রতিবেদন: কড়া পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত ২ মাসে যতজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, তার বেশিরভাগেরই নেপথ্যে র‍্যাগিং, যৌন হেনস্থা এবং জাতি বৈষম্য। এরই প্রেক্ষিতে বিশেষ পদক্ষেপ করল শীর্ষ আদালত। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের সুরক্ষিত রাখতে টাস্ক ফোর্স গড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতেরই প্রাক্তন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট। আগামী ৪ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে এই টাস্ক ফোর্সকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখে তার নেপথ্য কারণ বিশ্লেষণ করবে এই টাস্ক ফোর্স। এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ভবিষ্যতে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করবে তারা। বিচারপতিরা মনে করছেন, পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে আলোচনা বিশেষ জরুরি হয়ে উঠেছে। বিষয়টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বিচারপতিদের মন্তব্য, এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই প্রসঙ্গেই উল্লেখ করা যেতে রাজস্থানের কোটার ঘটনাক্রম। একের পর এক পড়ুয়ার আত্মহত্যা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে গোটা দেশে।

আরও পড়ুন-লোকসভায় বিতর্কে ফিনান্স বিল, মোদির মুখোশ খুলে দিলেন মহুয়া

লক্ষণীয়, ২০২৩ সালে দিল্লি আইআইটি-তে মৃত্যু হয়েছিল ২ পড়ুয়ার। ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল সেই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে। কোনও কোনও মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন ২ পড়ুয়া। অদ্ভুত ব্যাপার, পুলিশ এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করলেও আচমকাই হাত গুটিয়ে নেয়। সেভাবে কোনও কারণ না দেখিয়েই বন্ধ করে দেয় তদন্ত। এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ২ পড়ুয়ার পরিবার। যথাযথ তদন্তের দাবিতে মামলাও দায়ের করে। এই মামলার ভিত্তিতেই সোমবার টাস্ক ফোর্স গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে পুলিশকেও কড়াবার্তা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দিয়েছে, যদি কোনও অভিযোগ ওঠে এবং বাবা-মা যদি অভিযোগ করেন যে তাঁদের সন্তান হেনস্থার শিকার, তবে এফআইআর দায়ের করে অবশ্যই কর্তব্যপালন করতে হবে পুলিশকে। সুরতহালের পরেই তদন্তে ইতি টানা যায় না।

Latest article