প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কের পদ খারিজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চেয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরবেকরকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০২২ সালের জুন মাসে শিবসেনার একাংশকে নিয়ে দল ছেড়েছিলেন একনাথ। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (বালাসাহেব) নেতা উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ বিধায়ক সুনীল প্রভু স্পিকারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত বিলম্বের অভিযোগ এনে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে স্পিকারের জবাব চেয়েছে।
উল্লেখ্য, শিবসেনার বিধায়কদের ভাঙিয়ে শিন্ডে ২০২২ সালের জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। বিজেপির সাহায্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে উৎখাত করেছিলেন উদ্ধবকে। সেদিন শিন্ডে এবং প্রথম দফায় তাঁর সঙ্গে থাকা ১৫ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের পদক্ষেপ দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ ছিল কি না, খতিয়ে দেখতে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে দায়িত্ব দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। উদ্ধব শিবিরের অভিযোগ, শীর্ষ আদালত ১১ মে নির্দেশ দিলেও সেই সিদ্ধান্ত নিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছেন স্পিকার।
উল্লেখ্য, শিন্ডে-সহ ১৬ শিবসেনা বিধায়ককে অবস্থান স্পষ্ট করতে ২০২২-এর জুনে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। কিন্তু সে সময় শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকারকে সরানোর জন্য আগেই বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা। তাই তাঁর কৈফিয়ত চাওয়ার কোনও অধিকার নেই। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) একটি রায়কেই হাতিয়ার করেছিল শিন্ডে শিবির। সেই যুক্তি মেনেই শিন্ডে গোষ্ঠীকে প্রাথমিক ছাড় দিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন- বাদল অধিবেশনে একাধিক বিল পেশের তোড়জোড়