প্রতিবেদন : হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। কোনও ধরনেরই বাজি পোড়ানো যাবে না বলে শুক্রবার আদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতবছরের নির্দেশিকা বহাল রেখেই হাইকোর্ট জানিয়েছিল, কালীপুজো, দীপাবলি, জগদ্ধাত্রীপুজো, ছটপুজো, বড়দিন কিংবা বর্ষবরণ উৎসবে যে কোনও ধরনের বাজির উপরই থাকছে নিষেধাজ্ঞা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বাজি ব্যবসায়ীরা। সোমবারই ছিল সেই মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজ্যের বাইরে থেকে নিষিদ্ধ বাজি যাতে না আসে এবং নিষিদ্ধ বাজি কোনওভাবেই যাতে বিক্রি না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে। সুপ্রিম রায়ে স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরা, মিলল পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতিহাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন বাজি ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন :.মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে ৭ মার্চ, উচ্চমাধ্যমিক ২ এপ্রিল থেকে
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দিল কালী পুজোতে বাজি পোড়ানো যাবে। সে ক্ষেত্রে বাজি হতে হবে পরিবেশ বান্ধব। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই রায়ে স্বস্তিতে রাজ্যে বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৩১ লক্ষ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। গত শুক্রবার একটি জনস্বার্থ মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যে কোনরকম বাজে বিক্রি ও পোড়ানো যাবে না। সেই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বাজি ব্যবসায়ীরা। এদিকে দুর্গাপুজোর মতোই কােভিড পরিস্থিতিতে কালীপুজোয় সম্ভাব্য ভিড়ের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে সোমবার একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।