প্রতিবেদন : রুশ মহিলা ভিক্টোরিয়া ঝিগালিনা তাঁর চার বছরের সন্তানকে নিয়ে দেশেই আছেন। বৈধ পথে দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী ঐশ্বর্য ভাটি। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচাপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল ভিক্টোরিয়ার স্বামী সৈকত বসুর দায়ের করা মামলার। তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া আসলে রুশ গুপ্তচর। তিনি তাঁদের ছেলে স্ট্যাভিওকে গুম করেছেন। বিচারপতি সূর্যকান্ত কেন্দ্রের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, তাহলে খুঁজে পাচ্ছেন না কেন ভিক্টোরিয়া এবং তাঁর শিশুসন্তানকে?
আরও পড়ুন-একুশে জুলাই : শ্রদ্ধা ও আবেগের জবাব তৃণমূলের
কেন্দ্রের উত্তর, ডিফেন্স কলোনির যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ভিক্টোরিয়া, সেখানে গিয়ে দিল্লি পুলিশ কাউকে খুঁজে পায়নি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে লুক আউট জারি করে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। দেশের সব জায়গায় সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। রুশ মহিলা ভিক্টোরিয়ায় মোবাইল ফোনও বন্ধ। এমনকী ৩ এপ্রিলের পর তিনি কোনও ব্যাঙ্ক লেনদেনও করেননি। বিদেশে ফোনও করেননি কাউকে। তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে ভিক্টোরিয়া শেষবার ২৫০ টাকা তুলেছেন, জানান আইনজীবী। ইতিমধ্যেই রুশ মহিলা ভিক্টোরিয়ার মা মস্কো থেকে ১০ জুলাই রাশিয়ান দূতাবাসে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে নিখোঁজ। এরপর থেকে রুশ মহিলার মাকেও ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। দিল্লি পুলিশ দূতাবাসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জানতে পারে সেই তথ্য। বললেন আইনজীবী ভাট্টি। এদিকে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সৈকত বসুর আইনজীবী শুভাশিস ভৌমিকের দাবি, ভারতের বিদেশমন্ত্রকে কর্মরত এক আধিকারিকের রুশ স্ত্রী ভিক্টোরিয়াকে সাহায্য করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালতে নির্দেশ, যা করার দ্রুত করুন। খুবই উদ্বেকজনক পরিস্থিতি। আগামী দু’দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। গোটা দেশে অভিয়ান চালান। বিকল্প পথে ভিক্টোরিয়া তাঁর শিশুসন্তানকে নিয়ে কোথাও পালিয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখুন। জল, রেল, সড়কপথে কোথায় যেতে পারেন সব দিক খতিয়ে দেখতে হবে। নির্দেশ দেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। সোমবার হবে মামালার পরবর্তী শুনানি। ওই দিনই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, রুশ নাগরিক ভিক্টোরিয়াকে খুঁজে বার করতে সব রাজ্যের এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনে গুরগাঁও, নয়ডার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতে হবে। ভিক্টোরিয়ার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবারই। সব মিলিয়ে শীর্ষ আদালত বুঝিয়ে দিয়েছে, সময় নষ্ট করা চলবে না মোটেই।