নয়াদিল্লি: ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে মোদি সরকার যেভাবে দেশের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ তাঁর কথায়, সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশের ঘটনাটি ছিল প্রতারণা মূলক, ফাঁকিবাজির একটি কৌশল৷ সংসদের একজন সাধারণ পর্যবেক্ষকও ব্যাখ্যা করতে পারেন যে এই বিল পাশ করাতে গিয়ে মোদি সরকার কীভাবে সংসদীয় রীতির অবমাননা এবং পরিহাস করেছে৷ কীভাবে এই পরিহাস করা হয়েছে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান জানিয়েছেন, বিলটিকে সংসদীয় যৌথ কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল সংসদীয় অধিবেশনের শেষ দিনে৷ এর পরে যখন যৌথ কমিটির রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হয়েছিল তখন বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতিবাদ সম্বলিত ডিসেন্ট নোট মুছে ফেলা হয়েছিল হোয়াইটনার ব্যবহার করে৷ এটা কোনও রটনা নয়, চলতি বছরের সংসদীয় অধিবেশনেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ এর বিরুদ্ধে সংগঠিত বিরোধী শিবিরের সম্মিলিত প্রতিবাদের সামনে একটি সংশোধনী যুক্ত করা হয়েছিল, যেখানে সংশোধিত নোটগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ এরপরে গভীর রাতে সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করা হয়৷ রাজ্যসভার মধ্যরাত নাগাদ এবং লোকসভায় ভোর রাতে৷ তারপরে মণিপুর নিয়ে আলোচনা করা হয় ভোর তিনটের সময়ে৷
আরও পড়ুন-বাউন্সি পিচে মহড়া রোহিতের
দেশের শীর্ষ আদালত ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা একাধিক মামলায় যে অন্তবর্তী রায়দান করেছে তাকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেন, ওয়াকফ আইন কি দেশের সংবিধানের ১৪ ধারায় উল্লিখিত সমতার অধিকারকে লঙ্ঘন করে? এটি কি সংবিধানের ধারা ২৫ ও ২৬-এ বর্ণিত ধর্মীয় স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে? এটি কি ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য ধারার নির্দেশকে লঙ্ঘন করে? গোটা দেশ আশা করে অদূর ভবিষ্যতে দেশের শীর্ষ আদালত এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেবে৷