পর্ন নিষেধাজ্ঞার শুনানিতে নেপালের প্রসঙ্গ তুলল সুপ্রিম কোর্ট

চার সপ্তাহ পরে এই বিষয়ে আবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

Must read

সোমবার প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল পর্নোগ্রাফি (Pornography) নিষিদ্ধ করার আবেদনের শুনানি গ্রহণ করতে তারা আগ্রহী নয়। সুপ্রিম কোর্টে এদিন পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করার আবেদনের শুনানিতে উঠে এল নেপালে ‘জেন জ়ি’-র বিক্ষোভের কথা। চার সপ্তাহ পরে এই বিষয়ে আবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসে রাজনীতির সেকেন্ড ইনিংস শুরু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের, সঙ্গে বৈশাখী

শুনানিতে আবেদনকারীর যুক্তি ছিল, ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি হাতের নাগালে আসা খুব সহজ। পর্নোগ্রাফি যেকোন ব্যক্তি এবং সমাজের উপরে খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মনে এর প্রভাব খুব খারাপভাবে পড়ে। এদিকে পর্নোগ্রাফি দেখা থেকে মানুষকে আটকানোর কোন সঠিক ব্যবস্থা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তাই পর্নোগ্রাফি দেখা নিয়ন্ত্রণ করতে একটি নীতি তৈরি করা উচিত। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। গাভাই সাফ বলেন, ‘নেপালে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কী ঘটেছে দেখুন।’

আরও পড়ুন-দিল্লিতে বাতাসের মান ‘ভেরি পুয়োর’, বাড়ছে উদ্বেগ

প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেপালে সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তৎকালীন ওলি সরকার। এরপরেই বৃহৎ আকারে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ৮ এবং ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর রাস্তায় নামে জেন জ়ি-র হাজার হাজার সদস্য। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ একেবারেই নয়, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৭৬ জনের এবং ক্ষমতাচ্যুত হয় কেপি শর্মা ওলির সরকার। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এই বিক্ষোভের একমাত্র কারণ ছিল না, ছিল দুর্নীতির মতো আরও অনেক বিষয়।

আরও পড়ুন-তালিকায় নাম নেই! এসআইআর আতঙ্কে’ ডানকুনিতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার

উল্লেখ্য, ভারতে পর্ন দেখা আইনত অপরাধ নয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০ অনুযায়ী, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পর্নোগ্রাফি তৈরি বা প্রচার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া অশ্লীল ‘কনটেন্ট’ সম্প্রচারের জন্য কমপক্ষে ২৫টি OTT প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Latest article