১৯৫৮ সালে বিহারের মুঙ্গেরে একটি খুনের মামলায় পাটনা হাইকোর্টের (Patna Highcourt) একটি রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। তার শুনানিতে এদিন মেকআপের জিনিসপত্র এবং একজন বিধবা সম্পর্কে হাইকোর্টের মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি এই মর্মে বলেছেন, এই ধরনের মন্তব্য আইনের থেকে প্রত্যাশিত নয়। সংবেদনশীলতা এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে এহেন আচরণ একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। একজন মহিলাকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় অভিযোগ করা হয় এই মামলাটিতে।মহিলার বাবার একটি বাড়ির দখল পাওয়ার জন্য অভিযুক্তরা এমন কাণ্ড ঘটায় বলে জানা গিয়েছে। পাটনা হাইকোর্ট এই মামলায় পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে অন্য দুই সহ-অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছিল।
আরও পড়ুন-অমানবিক অত্যাচার, তিলজলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও খুনে ফাঁসির সাজা ঘোষণা
যে বাড়িটি থেকে মহিলা অপহৃত হয়েছেন, তিনি সেই বাড়িতে থাকতেন কিনা হাইকোর্টে প্রশ্ন ওঠে। হাইকোর্টের তরফে বলা হয় ওই বাড়িতে যেহেতু কিছু মেকআপের সামগ্রী ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায়নি এবং অপহৃত মহিলা বিধবা, তাই ধরে নেওয়া যায় ওই বাড়িতে তিনি থাকতেন না। এই যুক্তির ওপর ভিত্তি করেই দুই অভিযুক্তকে ছাড় দেয় আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং সতীশ চন্দ্র শর্মার একটি বেঞ্চ জানায় সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা গিয়েছে মহিলা ওই বাড়িতেই থাকতেন। শুধুমাত্র মেকআপের সামগ্রী দেখে বিধবা হিসেবে সেই সকল জিনিস ব্যবহার না করার সম্ভাবনা কীভাবে প্রামাণ্য তথ্য হতে পারে?
আরও পড়ুন-ধ.র্ষণে অভিযুক্ত সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ কেরলে
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, ‘আমাদের মতে, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ কেবল আইনগতভাবে অযোগ্য নয়, এটি অত্যন্ত আপত্তিকরও।’ বিচারপতিদের তরফে এদিন আরও বলা হয়, কিছু মেক আপ সামগ্রীর উপস্থিতি এটা প্রমাণ করে না যে কোনও বিধবা মহিলা সেই বাড়িতে থাকতেন কি থাকতেন না।