দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ভোটের। এর মধ্যেই চলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির চোখরাঙানি। এমতাবস্থায় লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Bandyopadhyay) ডাকতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED), জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকতে পারবে না ইডি। ১০ জুলাই পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে বলে জানান অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুমিত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয় আবেদনের শুনানিও হবে ১০ জুলাই।
আরও পড়ুন-অসুস্থ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ED শেষ ডেকেছিল ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আর তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের শেষবার ডেকেছিল ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে। তারপর থেকে তাঁদের আর ডাকা হয়নি। শুধু তাই নয়, যতবারই ডাকা হয়েছে তাঁরা তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ভোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিটা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর কোনোভাবেই ডাকতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১০ জুলাই। সেই পর্যন্তই এই আদেশ কার্যকর থাকবে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। একই সঙ্গে অভিষেকের ব্যক্তিগত সচিব সুমিত রায়ের ক্ষেত্রেও প্রায় একই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সে ক্ষেত্রেও মামলা মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে সেই একই তারিখ ১০ জুলাই।
আরও পড়ুন-বর্ষণমুখর দিন, বাংলায় ৫ জেলার জন্য ‘বড়’ সতর্কতা
নির্বাচন এলেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করে মোদি সরকার- এই অভিযোগ একা তৃণমূলের নয়, বাম, কংগ্রেস, এসপি, আরজেডি, শিবসেনা, আপ- সব রাজনৈতিক দলেরই। এর আগে যতবারই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডেকেছে অভিষেক গিয়ে তাঁর বক্তব্য জানিয়ে এসেছেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ৯-১০ ঘণ্টা কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসে থাকার পরেও বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে হুংকার দিয়েছেন। ভোটের আগে তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। সেই কারণে তিনি খুবই ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে আর ডাকতে পারবে না ED- স্পষ্ট নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।