প্রতিবেদন : এবার সুপ্রিম কোর্টের (TV Channel- Supreme Court) রোষানলে পড়লেন টেলিভিশন চ্যানেলের সঞ্চালকরা। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়কে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার এক মামলার শুনানিতে টিভি সঞ্চালকদের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিচারপতি বলেন, সঞ্চালকরা তাঁদের লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৩ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং
বেঞ্চ এদিন বলে, বাক স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে, মনে যা এল সেটাই বলে দেওয়া। চূড়ান্ত স্বাধীনতা বলে কিছু হয় না। সঞ্চালকদের আরও সংযত হওয়া প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের কাছে টিভি (TV Channel- Supreme Court) সম্পর্কিত কোনও নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা নেই। সব থেকে বেশি অবাক লাগছে যে, সরকার সব দেখেও এ ব্যাপারে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। যা দেখে মনে হচ্ছে, সঞ্চালকদের এই অবাধ স্বাধীনতায় সরকারের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্য নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। বিচারপতি জোসেফ আরও বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলের সঞ্চালকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সঞ্চালকেরা সেই ভূমিকা পালন করছেন না, বা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্যানেল ডিসকাশনে আমন্ত্রিত অতিথিদের টিভি অ্যাঙ্কররা মত প্রকাশের সময় দেন না। আবার অনেক সময় অতিথিরা আপত্তির মন্তব্য করেন। কিন্তু অ্যাঙ্কররা ওই ধরনের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন না। টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা গিয়েছে, মানুষ এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা শুধু স্পর্শকাতর নয়, রীতিমতো বিদ্বেষপূর্ণ। যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণকে নষ্ট করতে পারে। সরকার সব দেখেও চুপ কেন?