যোগীরাজ্যের তীব্র সমালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট

বৃন্দাবনের বাঁকেবিহারী মন্দিরের পরিচালন ব্যবস্থা অধিগ্রহণের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার যেভাবে অতি দ্রুততার সঙ্গে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট

Must read

প্রতিবেদন: বৃন্দাবনের বাঁকেবিহারী মন্দিরের পরিচালন ব্যবস্থা অধিগ্রহণের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার যেভাবে অতি দ্রুততার সঙ্গে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত আরও বলেছে যে, যোগী সরকার মন্দির তহবিল ব্যবহারের জন্য যে গোপন পদ্ধতিতে অনুমতি চেয়েছিল, অনুমোদনযোগ্য নয়। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ যোগী সরকারের অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আবেদনগুলির শুনানি করে। এই বিবাদটি বাঁকেবিহারী মন্দিরের দুই গোষ্ঠীর সেবায়েতদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য থেকে শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন-মার্শাল বিতর্ক, রাজ্যসভায় বিরোধীদের চাপে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হল বিজেপি

২০২৩ সালের নভেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে করিডর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সম্মতি দিলেও দেবতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তহবিল ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। আদালতে মন্দিরের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে উপস্থিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্যাম দিভান যুক্তি দেন যে, অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে গোস্বামীদের (যাঁরা মন্দির পরিচালনা করতেন) সরিয়ে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৫ মে সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশগুলি মন্দির তহবিল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল, তা ব্যবস্থাপনার অগোচরে পাশ করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি সূর্যকান্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারের ‘গোপন’ পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেন, রাজ্য সরকার যদি কোনও উন্নয়ন করতে চায়, তবে আইন মেনে চলতে কে বাধা দিচ্ছে? এটি একটি নো ম্যানস ল্যান্ড ছিল না। মন্দিরের পক্ষে কারও কথা শোনা উচিত ছিল। রাজ্য সরকার যদি স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করতে চাইত, তাহলে তাদের অবশ্যই সব পক্ষকে জানানো উচিত ছিল। বেঞ্চ প্রস্তাব দিয়েছে, তারা মন্দির তহবিল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া পূর্ববর্তী রায়টি প্রত্যাহার করতে পারে এবং অর্ডিন্যান্সের বৈধতা বিচার করার সময় মন্দিরের ব্যবস্থাপনার তত্ত্বাবধানের জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট মৌখিকভাবে জানিয়েছে , তারা অর্ডিন্যান্সকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠাতে পারে এবং ততদিনে মন্দিরের ব্যবস্থাপনা একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অধীনে থাকবে। আদালত আরও জানায় যে, এই এলাকার উন্নয়নের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-কেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি মন্দিরের রীতিনীতিগুলি অবশ্য আগের মতোই পরিবার দ্বারা পরিচালিত হবে।

Latest article