সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মান্যতা পেল উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে নাকচ করে সাংবিধানিক মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত। তবে পরীক্ষা সংক্রান্ত নিয়ম নাকচ করার পক্ষেও রায় দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। ফলে ফাজিল ও কামিল ডিগ্রি দেওয়া নিয়ে সংশয় থাকল এই রায়ের পরে। তবে মাদ্রাসা শিক্ষা সংবিধানের মূল ধারণাকে লঙ্ঘন করছে না বলে রায় সুপ্রিম কোর্টের।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২২ এপ্রিলের রায়ে উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সেই মামলায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায়কে নাকচ করে দিল। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও স্ট্যাটুট যতক্ষণ সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলিতে যতক্ষণ না লঙ্ঘন করছে, ততক্ষণ সেই স্ট্যাটুটকে বৈধ ধরা হবে। মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে তা মাদ্রাসা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আর এই আইন রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে পড়ুয়াদের ইতিবাচক শিক্ষা দিতে দায়বদ্ধ যাতে তাঁরা সমাজের সব ক্ষেত্রে অংশ নিতে পারে ও নিজেদের জীবন অতিবাহিত করতে পারে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালে নার্সকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ডিরেক্টর
এই পরিস্থিতিতে সংবিধানের ২১-এ ধারা ও শিক্ষার অধিকার অনুযায়ী ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের আলাদা শিক্ষাকেন্দ্রে পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। রাজ্যের তদারকিতে মাদ্রাসা বোর্ড নিশ্চিত করছে সেখানে শিক্ষার মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় থাকছে এবং তাতে তাঁদের ধর্মীয় নিজস্বতাও বজায় থাকছে বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। এমনকি রাজ্যের বিধানসভার অনুমোদন প্রাপ্ত বলেও এই বোর্ডকে উল্লেখ করা হয় এদিন।
তবে মাদ্রাসা বোর্ডের দেওয়া দুই ডিগ্রি ‘ফাজিল’ ও ‘কামিল’-কে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। এই দুই পরীক্ষা ইউজিসি-র নিয়মের পরিপন্থী বলে দাবি করা হয় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে।