সুপ্রিম রায়ে প্রমাণিত মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতা : ব্রাত্য

কোনও রাজ্যকেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি মানতে বাধ্য করতে পারবে না কেন্দ্র। একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারডিভিল এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের।

Must read

প্রতিবেদন : কোনও রাজ্যকেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি মানতে বাধ্য করতে পারবে না কেন্দ্র। একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারডিভিল এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জাতীয় শিক্ষানীতির চিন্তাভাবনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে দূরদর্শিতা সেই বিষয়টি এদিন আরও একবার স্পষ্ট করেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, সুপ্রিম কোর্ট আবারও রাজ্য সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। বোর্ডের রূপরেখা কেন্দ্র নির্ধারিত করলেও, আমাদের দেশের বৈচিত্র্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষানীতি নির্ধারণের বিষয়টি রাজ্য সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ প্রমাণ করে দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা এগিয়ে আছেন। তাঁর অভিভাবকত্বে সমগ্র দেশের জন্য প্রযোজ্য মৌলিক কাঠামো বজায় রেখে রাজ্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

এদিন বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত করার বিষয়ে কোনও রাজ্যকে বাধ্য করা যাবে না। জি এস মানি নামে এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্যগুলি যেন জাতীয় শিক্ষানীতি মানে। তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজ্যে প্রথম ভাষা হিসেবে মাতৃভাষা শিখতে হবে, এরপর শিখতে হবে হিন্দি বা ইংরেজি তারপর একটি প্রাচীন ভারতীয় ভাষাকে বেছে নিতে হবে রাজ্যগুলিকে। এই নিয়ে আপত্তি তুলেছে বেশ কিছু রাজ্য। যেহেতু ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা যৌথ তালিকাভুক্ত তাই নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্র যে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। এই যুক্তিতেই বেশ কিছু রাজ্য এই নীতি মানতে নারাজ। আদালত জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করার জন্য কোনও রাজ্যকে বাধ্য করতে পারবে না কেন্দ্র। একমাত্র যদি রাজ্যের পদক্ষেপ কোনও নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে থাকে তবে শুধুমাত্র সেক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারবে।

Latest article